মেধাবী-শিক্ষিত হয়েও বিদগ্ধ হৃদয়ে বেঁচে থাকে ওরা !

প্রকাশের তারিখ: জানুয়ারি ২৬, ২০২১ | ৪:১৪ অপরাহ্ণ

বরিশাল বাণী: ছবিটির মধ্যে হাজার যুবকের কান্না ও হাসি লুকায়িত। কান্না পরিমান টা অনেক বেশি। এক একজন এক রকম মত দিবে জানি তারপরও লেখা। বাংলাদেশ একমাএ দেশ যেখানে সহজে সব ব্যবসা করা যায়, এমন কি মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা কোন ব্যাপার না। টাকা হলে সব ম্যানেজ হয়।

বাংলাদেশ মত এত ঔষধ কোম্পানি পৃথিবীর কোন দেশেআছে কিনা জানা নাই। বাংলাদেশ অনেক স্থান আছে যেখানে কোন দিন ড্রাগ অফিসের লোকে পদচারণ পড়ে নাই। এই সুযোগে পচা কোম্পানি প্রতিনিধি এগুলোকে ভাল বলে প্রচার করে কারন তারাও জানেন না ভিতরে কি আছে, ফামেসি লোক তো লাভ বেশি তাই বিক্রি করে।

যাক আসল কথায় আসি, এই যে হাজার বেকার শিক্ষিত লোকদের যৌবনের সময় চাকরি দিয়ে যখন সরকারি চাকরির বয়স থাকে না তখন তাদের বাদ দেওয়া হয়। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেক, বেছে বেছে সুন্দর ছেলে-মেয়ে চাকরি দেওয়া হয়। তাদের কাজ সারাদিন রাত দুটা তিনটা পর্যন্ত চিকিৎসক চেম্বার শেষ করবে তাকে তাদের প্রোডাক্ট সম্বন্ধে বলা এবং লেখার জন্য অনুরোধ করা। কোন নিদিষ্ট সময় তাদের থাকে না। তারপর বড় বৈষম্য বা শিক্ষার অপমান হয় চিকিৎসক দের এটেনডেন্ট বা ফার্মেসি ম্যানের অর্ডার বা টাকা নেওয়া সময়। মনে হয় কিছু অসহায় মানুষ তাদের কাছে বিল নিতে আসছে, আবার কিছু সময় কিছু লোকের মোটরসাইকেল ট্রিপ। মাসিক টাকা প্রদান এবং বাজার করে খুশি করতে হয়।

এভাবে তাদের জিবন নস্ট করার অধিকার কেউ রাখে না। আবার তাদের দিয়ে পচা ঔষধ লিখিয়ে আমাদের মেধাবী সমাজ কে কলুষিত করা কতটুকু সমীচীন তা ভেবে দেখার সময়। বর্তমানে শোনা যায়, আমাদের দেশের জন্য একরকম ঔষধ আর বাহিরের দেশের জন্য আলাদা ভাবে ঔষধ তৈরি করা হয়। আর কত জিবন গেলে সঠিক আইন হবে ?

লেখক: তাহের সুমন

সাধারণ সম্পাদক- বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদ, বরিশাল।

প্রভাষক, আইএইচটি বরিশাল।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host