গৌরনদীর কোরফুলি বেগম ২২ বছর পর পেলেন আশ্রয়স্থল

প্রকাশের তারিখ: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১ | ৪:১৩ অপরাহ্ণ

গৌরনদী প্রতিনিধি :: আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমদ্দির ছোট্র বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়িতো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি একটুখানী বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পরে পানি। পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের সেই আসমানী কবিতার কথা আমাদের সবার জানা আছে। হয়ত কবি বেঁচে থাকলে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড় দুলালী গ্রামের অসহায় স্বামী পরিত্যাক্তা কোরফুলি বেগমকে নিয়ে আরেকটি কবিতা লিখতেন।

এ বৃদ্ধার দুরবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন ঢাকার বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম শাহীন ও বড়দুলালী গ্রামের ইতালী প্রবাসী মিজানুর রহমান মুন্সী। তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ঘর তৈরির কাজের শনিবার সকালে উদ্ধোধণ করা হয়।

উপজেলার প্রত্যন্ত বড়দুলালী গ্রামের অসহায় কোরফুলি বেগম জানান, ২২ বছর আগে স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই কোরফুলি বেগমের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। উপায়ন্তর না পেয়ে আশ্রয় নেন বাবার বাড়ি বড়দুলালী গ্রামে। পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ৩ শতক জমির উপর তার জীর্ন কুটির। ক্ষুধার জ্বালা, রোদ বৃষ্টি আর সাপের ভয় নিয়েই কাটছিল তার জীবন। ঝিয়ের কাজ করে ক্ষুধার জ্বালা মিটালেও রোগ শোক আর করোনা মহামারির ছোবলে এখন কেউ কাজও দেয় না। আর কাজ করার মত শারীরিক অবস্থাও নেই। কোরফুলি বেগমের দুরবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন ঢাকার বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম শাহীন ও বড়দুলালী গ্রামের ইতালী প্রবাসী মিজানুর রহমান মুন্সী।

উদ্বোধণী অনুষ্টানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান প্যাদা, ইউপি সদস্য খায়রুল আহসান খোকন, গণমাধ্যম কর্মীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। শেষ বয়সে মাথার গোঁজার একটু আশ্রয় পেয়ে খুশি কোরফুলি বেগম।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host