ঝালকাঠির সুগন্ধায় হঠাৎ ভাঙন, এক ঘণ্টায় আধা কিলোমিটার বিলীন

প্রকাশের তারিখ: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১ | ৫:০২ অপরাহ্ণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠি শহরের গুরুদম এলাকায় সুগন্ধা নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার দুপুরে আকস্মিক ভাঙনে এক ঘণ্টায় আধা কিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি বসতঘর ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সুগন্ধা নদীর তীর ঘেঁষা ঝালকাঠি শহর। শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকা থেকে গুরুদম পর্যন্ত দীর্ঘ দিন ধরে নদী ভাঙছে। ভাঙনে অসংখ্য পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছে। অনেকেই একাধিকবার বসতঘর সরিয়েছেন। বুধবার দুপুরে আকস্মিকভাবে গুরুদম এলাকার ভাঙন শুরু হয়। এতে মোনাছেফ হাওলাদারের বসতঘর নদীতে তলিয়ে যায়। তিনি ঘরের ভেতরের কিছু মালামাল রক্ষা করতে পারলেও বসতঘরটি বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র ভাঙনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা তলিয়ে গেছে। বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে বাসস্ট্যান্ড, একটি বালির খোলা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপণা ও কয়েকশত বসতঘর। নদী তীরের বিশাল ফাটল ধরে আছে। যেকোনো সময় ভাঙনে এসব স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে নদী ভাঙলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এতে সহায় সম্বল হারিয়ে অনেকেই আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়া নদী তীরের বাসিন্দারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

নদী ভাঙনের শিকার গুরুদম এলাকার নাজনীন বেগম সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরে নদীর পানি কিছুটা কমে যায়। তখন একটি এলপিজি বহনকারী একটি জাহাজের ঢেউয়ে আকস্মিকভাবে ভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে আধা কিলোমিটার এলাকা নদীতে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে আমাদের গাছপালা বিলীন হয়েছে। এখন বসতঘর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

একই এলাকার মোনাছেফ হাওলাদার বলেন, আমার ঘরটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কিছু মালামাল সরাতে পেরেছি, কিন্তু ঘরটি রাখতে পারিনি। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে ভাঙতেই আছে সুগন্ধা নদী। পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেউই কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এখনই বাধ দেওয়া না হলে বিপদ আরো বাড়বে।

নদী তীরের বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, বড় বড় ফাটল ধরে আছে। আমাদের বাড়িঘর যেকোন সময় নদীতে চলে যেতে পারে। আমরা পরিবারের লোকজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, নদী ভাঙনের খবর পেয়ে একটি দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host