চরফ্যাশনে ইটভাটা দখল করে জলাশয়ের মাছ ধরে নিল ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশের তারিখ: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১ | ১১:১১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইটভাটা দখল ও জলাশয়ের মাছ ধরে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

চরফ্যাশন উপজেলার দূর্গম অঞ্চল নজরুল নগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে হোসেন সরদার বাজার সংলগ্ন এলাকায় ৪একর ২৫শতাংশ জমি জুড়ে নিলীমা ব্রিক্স নামের একটি ইটভাটা রয়েছে।

যা একই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দখল করে হাওলাদার ব্রিক্স নামে নামকরণ করে ভোগদখল ও ইটভাটা সংলগ্ন ওই জমিতে অবস্থিত জলাশয়ের প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ ধরে নেয়ার অভিযোগ করেন ওই ভাটা ও জমির মালিক আবুল হোসেন মাতাব্বর।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নজরুল নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার আমার তফসিল ভূক্ত চর কলমী মৌজার জেএল নং ১১৩ এসএ খতিয়ান নং ৬০ ও ২০৫,২২৮,২২৯,২৫৮,৪৫৫,৪৬৬,৪৬৭,৪৬৮সহ ৪৬৯ নং দাগে ৩একর ২৫ শতাংশ ও প্রতিবছর লিজে/ভাড়ায় নেওয়া একশ শতাংশ জমিতে নিলিমা ব্রিক্স নামে ২০১৬ সালে একটি ভাটা স্থাপন করি।

দুই বছর ধরে ওই ব্রিক্সটিতে ইট তৈরীর পরে স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদারকে অংশিদারে নেই। এর কিছুদিন পরে ২০১৮ সালের মার্চ মাসের ১৬ তারিখে রুহুল আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার ভাইয়েরাসহ স্থানিয় সন্ত্রাসী দল আমাকে মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে এলাকা ছাড়া করে আমার ইটভাটা দখল ও ভোগ করে।

বিষয়টি নিয়ে আমি স্থানিয় এমপি বরাবর একটি অভিযোগ করেছি। গত সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) গভীর রাতে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার ভাইয়েরাসহ লোকজন এসে আমার ভাটা সংলগ্ন জলাশয়ে মাছ মারার ওষুধ দিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়।

এ অভিযোগ অস্বিকার করে নজরুল নগর ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার মুঠোফোনে জানান, ওই ভাটাটি আমার যা হাওলাদার ব্রিক্স নামে চলমান। তবে একসময়ে নিলিমা ব্রিক্স নামে ছোট একটি ভাটা ছিলো আবুল হোসেনের।

আবুল হোসেন দেউলিয়া হয়ে গেলে আমার কাছ থেকে ২০লাখ টাকা ঋণ নেয়।

আবুল হোসেনকে ২০লাখ টাকা ঋণ দেয়া এবং অন্যের জমিতে চেয়ারম্যানের নামে চলমান ভাটাটির কোনো কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ইটভাটা ও ২০লাখ টাকা ঋণ দেয়ার কোনো কাগজপত্র নেই তবে মৌখিক সাক্ষি রয়েছে। মাছ ধরে নেয়ার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলেও তিনি জানান।

স্থানিয় এলাকাবাসী জানান গভীর রাতে কে বা কাহারা ওই জলাশয়টিতে কিটনাষক প্রয়োগ করলে মাছ মরে যায়। পরে স্থানিয় এলাবাসী কিছু মাছ ধরে নিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যক্তি জানান, হাওলাদার ব্রিক্স ফিল্ড নামের ভাটাটি মূলত আবুল হোসেনের নিলিমা ব্রিক্স নামে ২০১৬ সাল থেকে ১৮সাল পর্যন্ত ইট তৈরী করে। পরে স্থানিয় চেয়ারম্যানকে অংশিদারে নেয়ার পর থেকে হাওলাদার ব্রিক্স নামে ইট তৈরী হয় এ ভাটায়। তবে আবুল হোসেনের নামে জমির দলিল ও নিলিমা ব্রিক্স নামে ভাটার ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। সোমবার বিকেলে এবিষয়ে দক্ষিন আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, জমির দলিল ও নিলিমা ব্রিক্সের নামে ট্রেড লাইসেন্স এবং এমপি বরাবর ১৮সালে দায়ের করা অভিযোগপত্রের কপি প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষীত।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host