নড়াইলে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

প্রকাশের তারিখ: মার্চ ২৩, ২০২১ | ৯:৩৫ অপরাহ্ণ

নড়াইল সদর উপজেলার সীমাখালী গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার রাতে চার মাসের গর্ভবতী মোসা: মৌসুমী খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ স্বামী খায়রুল মোল্যা ওরফে মানোর বিরুদ্ধে। নিহত মৌসুমী যশোর সদর উপজেলার উত্তর নলিতাদহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে। পুলিশ মঙ্গলবার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজন সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার সীমাখালী গ্রামের শাহাদাত মোল্যার ছেলে খায়রুল মোল্যা ওরফে মানোর সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার উত্তর নলিতাদহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে মোসা: মৌসুমী খাতুনের বিয়ে হয় প্রায় ৮ বছর আগে। বিয়ের পর তাদের ঘরে মারিয়া (৭) ও চাঁদনী (৮মাস) নামে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝসড়া কলহ লেগে ছিল।

মৌসুমী খাতুনের পিতা মোতালেব মিয়া জানান, আমার চারমাসের গর্ভবতী মেয়ে মৌসুমী সোমবার রাত প্রায় ১১টার সময় আমাকে মোবাইলে ফোনে জানায়, আব্বা আমাকে বাঁচাও। আমি খুব বিপদে আছি। তখন আমি তাকে নানা ধরনের কথা বলে শান্তনা দেই। পরে মঙ্গলবার সকালে খবর পাই মেয়ে মারা গেছে। খবর পেয়ে দ্রুত সীমাখালী জামাই বাড়ি এসে দেখতে পাই মেয়ের গলায়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। কান দিয়ে রক্ত পড়ছে। স্থানীয় কয়েকজন আমাকে জানায় মানো সোমবার রাতে সীমাখালী ঘাটে জুয়া খেলছিল। মৌসুমী এসে মানোর জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় ঘটনাস্থলে সে আমার মেয়েকে মারপিট করে। পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে ওই রাতে আমার মেয়েকে হত্যা করে গলায় রশি ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।আমি আমার মেয়ে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
গৃহবধূর ফুফাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, খায়রুল মোল্যা ওরফে মানো নেশাগ্রস্ত ও জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল। আমার বোন এসবের প্রতিবাদ করলে তাকে প্রায় মারপিট করতো।

গৃহবধূর চাচাতো ভাই জুয়েল জানায়, আমার চাচি গত ১৯ মার্চ মৌসুমীকে উত্তর নলিতাদহ গ্রামের পিতার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি এনে রেখে যায়।সংসারের ব্যয়ভার নির্বাহ না করে নেশা করে এবং জুয়া খেলে বেড়াতো ভগ্নিপতি মানো।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইলিয়াস হোসেন জানান, পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host