বরিশালে চেয়ারম্যানের দুর্নীতির টাকা ভাগাভাগির ফোনালাপঃ তদন্তে দুদক

প্রকাশের তারিখ: এপ্রিল ১, ২০২১ | ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ

বরিশাল প্রতিনিধি ॥ লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কাজের টাকা আত্মসাত ও ভাগাভাগির ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালের ঘটনায় বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেবী রানী হালদারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আল-আমিনের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম ইতোমধ্যে জল্লা ইউনিয়নের কারফা বাজারে চেয়ারম্যান বেবী রানী হালদারের অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

দুদকের তদন্ত টিমের সদস্যরা সরেজমিনে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহ পরিদর্শন এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তার (পিআইও) দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের রেকর্ডপত্রও সংগ্রহ করেছেন। বুধবার সকালে দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আল-আমিন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সরকারি কাজের টাকা ভাগাভাগির ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় জল্লা ইউপির চেয়ারম্যান বেবী রানী হালদার ও সদস্য দিপালী হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের হটলাইনে একাধিক অভিযোগ আসে। এর প্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে গত ২৮মার্চ থেকে তার নেতৃত্বে একটি টিম ফোনালাপ ফাঁসের ওই ঘটনার তদন্তে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণতি বিশ্বাস ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা (পিআইও) অয়ন সাহা সহ প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছেন। এরপরই তদন্ত অনুযায়ী দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host