কুয়াকাটায় অর্ধশত বছরের জলাশয় সংস্কারঃ হতে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন লেকপার্ক

প্রকাশের তারিখ: এপ্রিল ১৬, ২০২১ | ১২:৪৭ অপরাহ্ণ

হোসাইন আমির, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ- কুয়াকাটায় ৫০ বছরের পরে থাকা বদ্ধ জলাশয় দিঘী হতে যাচ্ছে এখন সৌর্ন্দয্য বর্ধনে দৃষ্টি নন্দিত অত্যাধুনিক লেক পার্ক। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য বা সময় কাটানো সন্ধ্যার পরে কুয়াকাটায় কোন চিত্ত বিনোদনের স্থান না থাকায় এনিয়ে ব্যাপক পর্যটকের মুখে ছিলো আলোচনায় সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দু। এসব আলোচনা মাথায় রেখে পৌর সভার নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ার হাওলাদার তার নিজ অর্থায়নে বিনোদন মুখী এ উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক সারা ফেলছে পর্যটন শিল্পের। এখন থেকে কাজ শুরু হয়েছে আগামী পর্যটন মৌশুমের আগেই এটি চালু হবে বলে এমটাই দাবী কুয়াকাটার পৌর কর্তৃপক্ষর। বর্তমানে নিজ অর্থ খরচ করলেও পরবর্তিতে এটাকে যে কোন প্রজেক্টে নেওয়া হবে। এতে খরচ হতে পারে প্রায় ৪ কোটি টাকা।
জানা যায়,কুয়াকাটার সৈকতের কোলঘেঁষে বেড়িবাধেঁর বাহিরে ১৯৭০ সালের ভয়াবহ বন্্যায় পানির ¯্রােতে বিশাল দিঘীতে পরিনত হয়। এবং প্রায় ৪ একর জায়গা জুড়ে দিঘীটি বদ্ধ জলাসায় রয়ে যায় ৫০ বছর ধরে। সরকারী এ জমিটি অনেক সময় পরিস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়ে উঠেনি। নবনির্বাচিত মেয়র দায়িত্বে আসার পরপরই নজরে আসে এই অযতেœ অবহেলায় পরে থাকা এই দিঘীটি। যেটি পর্যটকদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ভাবে পরিকল্পনায় এটি অত্যাধুনিক লেক পার্ক তৈরী করার জন্য যা পর্যটক বান্ধব ও বিনোদন প্রেমি মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বর্তমানে নিজ অর্থায়ানে হতে নেন। যেখনে থাকবে প্যাডেল নৌকা, লেকের চার পাশে বিভিন্ন কালার লাইটিং, সৈকতে গোসল করে এসে পর্যটকরা মিস্টি পানিতে গোসল করে ড্রেস চেঞ্জিং রুম, লেকের মাঝে তিনটি গোলাকার ভাসমান ওয়াটার প্রæফ লাইটিং ঝাড় ও মিউজিক লাইট, চারপাশে ৮ ফুট রাস্তার ফাঁেক ফাঁেক থাকবে বাসার স্থানসহ লেকে চার পাশেই পরিছন্ন ভাবে তৈরী হবে এই বিনোদন মূখী লেক পার্ক। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, গুরুত্ব পূর্ন জায়গাটি এতদিন পরিত্যক্ত জলাশায় ডোবা পরে ছিলো মেয়রে যে উদ্যোগ নিয়েছে এটা কে আমরা সাধুবাদ জানাই। কুয়াকাটা শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জনি আলমগীর জানান,আমরা বর্তমান মেয়রের কাজ দেখে মনে হয় বলতে পারি যে একজন বিনোদন বান্ধব মেয়র পাইছি কুয়াকাটা যে কাজটি সবচেয়ে অনুপস্থিত ছিলো সেটি দ্রæত উদ্যোগ নিয়েছে এবং সে সফল হবে আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই তার পাশে আছি ভালো কাজের সাথে।
স্বপ্নের সিড়িতে দাড়িয়ে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, ভোটের আগে জনগনকে কথা দিয়ে ছিলাম নির্বাচিত হতে পারলে আপনাদের নিয়ে কাজ করব। পওে থাকা পৌরসভার যতগুলি সরকারী জায়গা রয়েছে জেলাপ্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শোভাবর্ধন করে পর্যটকদের বিনোদন পায় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। যে লেকটার কাজ করতেছি সেটি সুন্দর একটি নাম দিয়ে শুভ উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মহদয়। চলমান কজের চেষ্টার ত্রæটি করব না মন দিয়ে করছি বাকি দিন গুলি আল্লাহ উপর ভারসা আপনারা ও জনগন সহয়তা করলে ইচ্ছে পোষন করছি আগামি পাচ বছর পরিকল্পীত ভাবে কাজ করে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে চাই । আগত পর্যটক ও আমার পৌর জনগন যেন কাজের মাঝে আমাকে স্বরণ রাখে। এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবুল হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক জানান, মেয়র সাহের যে উদ্যোগটি নিয়েছে ভাল তবে সরকার যে কোন ভালো কাজের সহযোগীতায় বদ্ধপরিকর।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host