সঞ্জিব দাস গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় গত কয়েকদিনে হটাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ ব্যাপক ভাবে বেড়েছে। উপজেলা সদরের ৫০ শয্যার একমাত্র হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ২০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। ফলে রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক-নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারওপরে হাসপাতালে চলছে তীব্র পানি সঙ্কট। যার কারণে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।পটুয়াখালীর সাগরপাড়ের রাঙ্গাবালীতে এখনও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেই। রাঙ্গাবালী উপজেলার রোগীদের ভরসা গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দুই উপজেলার জন্য একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হওয়ায় এমনিতেই সব সময় রোগীর ভিড় লেগেই থাকে। তারওপরে গত কয়েকদিনে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তথা ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ভর্তি হয়েছে ১৭০ জন। আউটডোর থেকে চিকিৎসা নিয়েছে আরও বেশ কিছু সংখ্যক রোগী। ডায়রিয়া আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যা বেশি। এছাড়া, নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে, এমন রোগীর সংখ্যাও কম নয়।
কর্তৃপক্ষ আরও জানান, ডায়রিয়া রোগীদের জন্য ১০টি শয্যা নির্ধারিত থাকলেও তাতে সঙ্কুলান হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে বহু রোগী মেঝে কিংবা বারান্দায় ঠাঁই নিয়েছে। এরওপরে গত কিছুদিন ধরে হাসপাতালে পানির সঙ্কট চলছে। ফলে রোগীদের বিড়ম্বনা বেড়েছে।হাসপাতালের ডাঃ শাহরিয়ার জানান, জনবল ও শয্যা সঙ্কটের মধ্যেও রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। বিশুদ্ধ পানি ও অত্যাধিক গরমের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলা এমনিতেই লবণাক্ত এলাকা। চৈত্র-বৈশাখ মাসে পুকুরগুলোর পানি তলানিতে নেমে যায়। যে কারণে বাধ্য হয়ে মানুষ দুষিত পানি ব্যবহার করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ও আইভি স্যালাইন মওজুদ থাকায় রোগী সামলাতে সমস্যা হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার জানান, হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট সমাধানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।