নেই হাসপতাল, নেই স্যালাইন ! ডায়রিয়া মহামারীতে জনদূর্ভোগ চরমে

প্রকাশের তারিখ: এপ্রিল ১৯, ২০২১ | ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
ফিরোজ ফরাজী , রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এখানে সরকারি হাসপাতাল না থাকায় ইউনিয়ন সাস্থ কমপ্লেক্স  রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এসব এলাকার  ফার্মেসিগুলোতে কলেরা স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে।  ধারণা করা হচ্ছে, প্রচণ্ড গরম ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়ার এমন প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
 রোগীর স্বজনদের অভিযোগ,এখানে হাসপতাল নেই।আছে সাস্থ কমপ্লেক্স।সেখান থেকে কোন ঔষধ দেয়া হয় না। আমরা রোগী নিয়া কোথায় যাবো।এরপর আবার কলেরা স্যালাইনের সরবরাহ না থাকায় আমরা রোগী নিয়ে বিপদে পরে গেছি। এ উপজেলার বাহের চর,খালগোড়া, পুলঘাট,নেতা বাজার ঘুরে কোথা ও কোন কলেরা স্যালাইন পাই নাই।
ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ান সাস্থ কমপ্লেক্সের ডিএমফ ডাঃ এম,টি,আই ফিরোজ মাহমুদ বলেন,ডায়রিয়ার প্রচুর রোগী, কিন্তু চিকিৎসার জন্য স্যালাইন দরকার তা এ উপজেলায় পাওয়া যাচ্ছে না।আমি ঠিক মতো চিকিৎসা দিতে পরছিনা।এখানে তো হাসপাতাল নেই।তাই জটিল রোগী গলাচিপা নিয়ে যাওয়ার কথা বলি।
উপজেলা সদরের পল্লী চিকিৎসক দিলীপ দাস বলেন,এই এলাকার ফার্মেসীতে কলেরা স্যালাইন সীমিত পরিমানে রাখে।শেষ হয় আবার আনে এখন তো মহামারী আকার ধারন করছে,তাই স্যালাইন শেষ। কোন কোম্পানি ও সাপ্লাই দিচ্ছে না। এ করনে আমাদের এ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। দেশে করোনা মহামারি আবার ডায়রিয়া ও মহামারি আকার ধারন করছে।এখন সৃষ্টিকর্তাই আমাদের ভরসা।
টিএইচ মোঃ মনিরুল ইসলাম বলে,সারা বরিশাল বিভাগে ডায়রিয়া। তবে রাঙ্গাবালীতে আমাদের হাসপতাল নাই।আছে সাস্থ্য কমপ্লেক্স।সেখানে বেড নেই, তাই সরকারি ভাবে কোন স্যালাইন থাকেনা।আছে শুধু খাবার স্যালাইন। আমি আমার সমস্থ কর্মকর্তাকে বলেছি জটিল যে রোগী তা গলাচিপা হাসপাতালে পাঠানোর জন্য।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host