যৌতুক নয়তো জমি দে, আউলিয়াপুরে যৌতুক না দেওয়ায় শশুর-স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম। পটুয়াখালী সদর উপজেলা আউলিয়া পুর ইউনিয়নের পূর্ব বাদুরার ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ কালামের ছেলে যৌতুকের টাকা জন্য শশুর সোহরাব হাওলাদার ও স্ত্রী লিমা আক্তাকে মারধর ও জমি দখল করেন সাইফুল হাওলাদার।
গত ২৪ এপ্রিল শনিবার সকল সাড়ে ১০ সময় ইউপি সদস্য মোঃ কালামের ছেলে যৌতুকের টাকা জন্য শশুর ও স্ত্রীকে মারধর করেন । ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউ পি সদস্য মোঃ কালাম ও কৃষক মোঃ সোহরাব হাওলাদার এরা দুইজন সৎ ভাই। ইউ পি সদস্য মোঃ কালাম সৎ ভাই মোঃ সোহরাব হাং এর মেয়ে মোসাঃ লিমাকে ছেলের বৌ করেন ২০১৫ সালে। এক বছর সংসার করা যেতে না যেতেই যৌতুকের টাকার জন্য প্রতিনিয়ত মারধরের ঘটনা ঘটে। এজন্য লিমা একাধিক বার বাবার কাজ থেকে টাকা এনে দিতেন তার পরো থেমে থাকিনি সাইফুলের এই নির্যাতন । হঠাৎ করে স্বামী মোঃ সাফুল স্ত্রী লিমার কাছে নতুন করে যৌতুকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে লিমার বাবা মোঃ সোহরব হাং এর জমি দখল করেন। স্ত্রী লিমা স্বামী সাইফুলকে এ ব্যাপারে নিষেধ করলে স্বামী সাইফুল স্ত্রী লিমাকে অনেক মারধর করেন। লিমার বাবা মেয়েকে কে ধরতে আসলে ,জামাই সাইফুল ও কালাম মিলে মার ধর করেন লিমা ও সোহরব হাং কে এবং জায়গায় চতুর্পাশে থাকা বেড়া চাটি ভেঙ্গে ফেলেন। ৯৯৯ কল দিলে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দেশে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুই পক্ষকে উপস্থিত পুলিশ অফিসে ২৫ এপ্রিল রোজ রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় থানায় উপস্হিত থাকার জন্য বলেন।
ভুক্তভোগী লিমা বলেন, আমার বিবাহের বয়স ৬ বছর আমাদের সংসারে ১ টি পুত্র সস্তান আছেন। আমি একাদিক বার আমার বাবা মা’য়ের কাছ থেকে টাকা এনে দিয়েছি। তার পরেও আমার উপরে এই অমানবিক নির্যাতন করে। আমার স্বামী মোঃ সাইফুল বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলেন, আমি টাকার বিষয় অস্বীকার করলে আমার বাবার নিজ ক্রয়ে করা সম্পত্তি দকল করার জন্য চেষ্টা করলে,আমি বাধা দিলে আমার বাবাকে,আমাকে অনেক মার ধর করে,আমার বাবা ও শশুর এরা ভাই একি বাড়িতে থাকি। আমি বর্তমানে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তিন তলায় সার্জারি ওয়ার্ডে বর্তি আছি।
আমার বৃদ্ধ বাবাকে আমার শশুর, স্বামী মিলে মার ধর করেন আমি এর সঠিক বিচারের দাবি করছি বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।