ফের বালুক্ষয়ের কবলে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাঃ পাউবোর কাজে হ-য-ব-র-ল

প্রকাশের তারিখ: এপ্রিল ২৯, ২০২১ | ৬:০৮ অপরাহ্ণ

হোসাইন আমির, কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ-  নেই কোন বাতাস, স্বাভাবিক ভাবেই আছে বর্তমানে আবহাওয়া তব্ওু  ঢেউয়ের ঝাপটায় বালুক্ষয় হচ্ছে কুয়াকাটার সৈকত। র্দীঘ ১৮কিঃমিঃ পুর্নিমার জোতে তীব্র ভাংগনের ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে বনসহ সৈকতে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।  সৈকতে সম্প্রতি চলমান কাজ মুল পয়েন্ট থেকে পুর্বদিকে ১ হাজার মিটার ও পশ্চিমে ৫শ মিটারে জিভি কোম্পানির জিওটিউপ ব্যাগ দিয়ে কাজ করলে যথাযথ ভাবে না হওয়ায় অধের্ক ব্যাগ থেকে এখনি বালু বের হয়ে গেছে  এ ছাড়াও মাটি থেকে পানির স্তর বেশী এবং ব্যাগের উচ্চতা কম থাকায় কোন ভাবেই পানি আটকনো যাচ্ছেনা। প্রশ্নবিদ্ধ এ কাজ নিয়ে নানা মহলে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। পাউবো কর্তৃপক্ষ বলছে উল্টো কথা পাবলিক চলাচলের জন্য ব্যাগ ছিড়ে ফেলছে যার জন্য বালুবের হয়ে গেছে।
আজ সকালে সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সামান্য বাতাসও নেই তার পরও বড় বড় ঢেউয়ের ঝাপটায়  পড়ে থাকা ছোট দোকান গুলি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাগর গর্ভে । একদিকে করোনায় লকডাউনে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত অন্য দিকে ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দোকান পাঠ এ যেন মরার উপরে খরার ঘা—। অপরিকল্পিত ভাবে পাউবোর  চলমান  ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার প্রকল্প ১৫শ মিটার কাজ প্রায় সমপ্তের পথে তার আগে বেস্তে যেতে চলছে সরকারী টাকা । দক্ষিণ দিক থেকে আসা বড় বড় ঢেউয়ের উচ্চতা তার চেয়ে জিও ব্যাগের উচ্চতা অর্ধেক পরিমান কম যার কারণে পানি আটকানো কোন ভাবেই সম্ভাবনা নেই। দেশীয় নন ওভেন জিওটিউব নিন্মমানের এবং বিদেশ থেকে আনা ওভেন জিওটিউবের ভিতরে বালু ঢুকালে তাও বের হয়ে আসে সব মিলিয়ে  পাউবোর চলমান যে প্রকল্প তার হরিলুটের প্রকল্প বলে মনে করছেন এখান কার ট্যুরিজম ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগন। সৈকতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী কাওসার বলেন প্রতি বছর এইদিনে পানি উন্নায়ন বোর্ড এই সময় আসলেই কাজে নামেন তাও আবার যেনতেনো ভাবে সফল হতে পারেন না আমাদের প্রতি বছর যে টাকা আয় করি তার চেয়ে খরচ হয়। শুধু এই ভাঙ্গনের কারণে। আল্লাহ তুমিই ভরসা। কুয়াকাটা খানয়াবাদ ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাংবাদিক খা এ রাজ্জাক বলেন  কুয়াকাটার সৈকতকে রক্ষার জন্য দরকার টেকসই মহপরিকল্পনা যাতে সমুদ্র সৈকত রক্ষা পায় এবং আগত পর্যটকরা বিনোদন পায়। যে কাজ করে তাও আবার ঠিকঠাক ভাবে হচ্ছে না যে কারণে নিন্মমানের কাজের কারণে বার বার হোচট খেতে হচ্ছে।  এ বিষয় কলাপাড়া পানি উন্নায়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুর রহমান দৈনিক মানবজমিনকে বলেন—আমাদের প্রকল্পে সৈকতে এখনও কাজ চলমান আছে প্রাথমিক ভাবে আমরা দুইদিক দিয়ে দেখতেছি ওভেন না ননওভেন জিওটিউব দিয়ে সৈকতের বালুক্ষয় রক্ষা করা যায় কিনা  পরিক্ষামান টেকসই  ভাবে যেটা শক্তহবে সেগুলো দিয়ে সৈকতের কাজ বাস্তবায়ন করবো। আর চলমান কাজে কোন অনিয়ম হয় তা ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবো।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host