হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে তৃতীয় দফা লকডাউন। করোনা ভীতি উপেক্ষা করে ঈদ উদযাপনের জন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বরগুনার আমতলীবাসী। প্রতিটি মার্কেট ও বিপণি বিতানে পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে ছুটছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। প্রতিটি মার্কেট ও বিপণি বিতানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষনই দেখা যাচ্ছে না। গত ২/৩ দিনে ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীর লক্ষ করা গেছে। ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে কেনাকাটা করতে ক্রেতারা বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতানে ছুটে চলছেন ।
ক্রেতাদের আগমনে খুশি বিক্রেতারাও। তারা বলছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সরকারের লকডাউন ঘোষনায় প্রায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা কিছুটা আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন। গত ২/৩ দিন ধরে হঠাৎ ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনাও বেড়ে গেছে।
সরকার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রেখেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে বেচাকেনা করার নির্দেশনায় জানানো হয়। সংক্রমণ থেকে রক্ষায় ঘরের বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরিধান এবং নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোতে আগত ক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে নেই কোন মাস্ক। এমনকি তারা গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ও বসে কেনাকাটা করছেন। আবার অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেরও বিক্রেতা বা সেলসম্যানের মুখে মাস্ক পড়তে দেখা যায়নি।
আমতলী পৌর শহরের বিভিন্ন ছোটবড় মার্কেট ও ফুটপাতের বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেট ও বিপনি বিতানগুলোতে বিপুল সংখ্যক ক্রেতারা কেনাকাটা করার জন্য ভীর করছেন। বেশীর ভাগ মার্কেট ও বিপনি বিতানে মহিলা ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশী থাকলেও অনেকে আবার পরিবার-পরিজন এমনকি শিশুদের সঙ্গে নিয়েও কেনাকেটা করতে এসেছেন।
গৃহবধু মুনা আক্তার তার দুই শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে সুমাইয়া মার্কেটে এসেছেন বাচ্ছাদের ও নিজের জন্য নতুন পোশাক কিনতে। তিনি বলেন, করোনার কারনে প্রায় গত ১ মাস ধরে ঘরবন্দি ছিলাম। ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটা করতে বের হয়েছি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ শাহআলম হাওলাদার বলেন, ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য পৌর শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ক্রেতারা যাতে নির্বিঘেœ কেনাকাটা করে বাড়ী পৌছতে পারে সে জন্য পুলিশ গাড়িতে করে শহরের প্রধান সড়কগুলো টহল দিচ্ছে।