কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসলো বিশালাকার মৃত ডলফিন

প্রকাশের তারিখ: মে ৯, ২০২১ | ৫:০৪ অপরাহ্ণ

কুয়াকাটা প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে বিশালাকার একটি মৃত ডলফিন। রোববার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটার লেম্বুর বনসংলগ্ন সমুদ্রসৈকতে ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের মৃত ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে মৎস্য বিভাগ ও কুয়াকাটা পৌরসভার কর্মকর্তাদের খবর দেয়। এর আগেও বেশ কয়েকটি মৃত ডলফিন সৈকতে ভেসে আসে বলে জানা যায়।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ জানান, ঘটনাস্থলে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। কী কারণে মাছটি মারা গেছে সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পোস্টমর্টেম করার চেষ্টা করা হবে। তবে যদি অবস্থা বেশি খারাপ হয় তাহলে ডলফিনটি মাটিচাপা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা জানান, বন বিভাগের সহযোগীতায় বন্যপ্রাণীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের নদী ও সমুদ্রসীমায় সাত প্রজাতির ডলফিনের আবাস রয়েছে। সমুদ্রের যে এলাকায় ডলফিন বিচরণ করে, সেখানে মাছের আনাগোনাও বেশি থাকে। এ কারণে জেলেরা অনেক সময় ডলফিনের গতিবিধির ওপর নজর রাখে ও সেসব এলাকায় জাল ফেলে। এতে অনেক সময় জালের ফাঁসে জড়িয়ে বা নৌযানের সোনারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডলফিনের মৃত্যু হয়।

এছাড়া ইদানীং কোনো কোনো দেশে প্লাস্টিক বর্জ্য খেয়ে তিমি বা ডলফিনের মৃত্যুর নজিরও দেখা গেছে।

ডলফিন রক্ষায় জেলে স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার অনুরোধ রেখে এই বন কর্মকর্তা বলেন- বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী ডলফিন হত্যা করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া মৃত ডলফিনের দেহাবশেষ অবৈধভাবে কারও কাছে পাওয়া গেলেও সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডই হতে পারে।’

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host