খেয়া ঘাটের জেটির স্বাক্ষিতে -দুই উপজেলার উন্নয়নের পার্থক্য

প্রকাশের তারিখ: জুন ৪, ২০২০ | ৬:২৮ অপরাহ্ণ

হোসাইন আমির,কুয়াকাটা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ-
একটি জেটিতেই বলে দেয় এক উপজেলার থেকে অন্য উপজেলার পার্থক্য। কোন উপজেলার চেয়ারম্যানরা উন্নায়নে এগিয়ে। কলাপাড়া উপজেলা মহিপুরে নিজামপুর ও তালতলী উপজেলার নিসান বাড়িয়ার খেয়াঘাট। অবস্যই তালতলী উপজেলার নিশান বাড়ীয়ার অংশে গত বছর প্রায় কোটি টাকার ব্যায়ে রাস্তাসহ জেটি দিয়ে বর্তমানে সুবিধা পাচ্ছে জনগন। কিন্ত এই পারে যুগ যুগ ধরে খেয়া পারাপারের যাত্রীরা হাটুসমান কাদা-পানি পেরিয়ে যাতায়েত করছেন । প্রতিদিন এ ভাবেই ভোগান্তি পোহাচ্ছে পর্যটকসহ দুই উপজেলার জনগণ। প্রতি বছর বিভাগীও ভাবে রাজাস্ব খ্যাতে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা পড়লেও একপাশের জেটির কারণে ভোগান্তির শেষ নেই। ওই জেটিতেই বলে দেয় দুই উপজেলার উন্নায়নের পার্থক্য।
খোজ নিয়ে জানা যায়, পটুয়াখালী ও বরগুনা এই দুই জেলার দুই উপজেলা সিমান্ত আন্ধার মানিক নদী দিয়ে কলাপাড়া উপজেলা মহিপুরে নিজামপুর ও তালতলী উপজেলার নিসান বাড়িয়ার খেয়াঘাট। বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সিমান্তে পরার অংশে গত বছর বাস্তসহ জেটির কাজ হলেও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিজামপুরের অংশ আজও পরে আছে। নির্বৃত্তে কাঁেদ এক পাশের খেয়া ঘাট ,কবে নাগাত এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে। দুইপারে বাড়ী থাকা কুয়াকাটার দুলাল খান (৩৪)বলেন, প্রতি সপ্তাহে আমার পরিবারসহ খুব ভোগান্তি নিয়ে খেয়া পার হতে হয়। জোয়ার দেখে দেখে পার হতে হয়। বাটার সময় একদম পার হওয়া যায়না এভাবে ১২ বছর পার করলাম। খেয়াঘাটের ইজারাদার রাজ্জাক মিয়া জানান, প্রতি বছর বছর খরচ সহ ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা রাজাস্ব দিয়ে আমাদেও এই খেয়া আনতে হয় । প্রতিবারই বলে ঘটের সমস্যা সমাধান করবে কর্তৃপক্ষ কোন কাজ করছে না তালতলীর ওইপাশেরটা হলেও জুলে আছে এপাওে জেটি । বাস খুটা দিয়ে যাত্রীদের সুবিধা দিলেও কয়েক মাস পর থাকে না। ছোট খাটো কোন ঘূর্নিঝর আসলেই ভেঙ্গে নিয়ে যায়। ওই পারের চেয়ে অর্ধেকও খরচ লাগবে না এই জেটি করতে ২৫ বছর ভোগান্তিতে আছি জেটি হচ্ছে না। কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তি যোদ্ধা এস এম রাকিবুল ইসলাম জানান, আমি খুব শীঘ্রই ওখানে পরির্দশন করবো আগামী অর্থবছরে এ সমস্যা সমাধান হবে আশা করি।
পর্যটকসহ প্রায় লক্ষাধীক লোকের যাতায়েত এই খেয়া পারাপার দিয়ে খুব দ্রæত এই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে জোর দাবী জানিয়েছেন দুই উপজেলার ভুক্তভোগী জনগন।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host