কুয়াকাটা সৈকতে লাল কাঁকড়া-কচ্ছপের অভয়াশ্রম

প্রকাশের তারিখ: মে ১৭, ২০২১ | ৮:৫০ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আনাগোনা নেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের। তাই ফিরতে শুরু করেছে লাল কাঁকড়ার দল। সৈকতের অন্যতম আকর্ষণ লাল কাকঁড়া ও তার আলপনা। এদের সবচেয় বেশি বিচরণ সৈকতের লেম্বুরবন ও গঙ্গামতি পয়েন্টে। অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন, শব্দ দূষণসহ পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপে লাল কাঁকড়া ও কচ্ছপের অবাধ বিচরণ কমে গেছে।

আর এসব জীববৈচিত্র রক্ষায় এবার সৈকতে তৈরি করা হয়েছে অভয়াশ্রম। এর ফলে প্রচুর পরিমাণ লাল কাকড়ার বংশ বৃদ্ধি পাবে। আর কচ্ছপের হবে আশ্রয়স্থান। পাশাপাশি পর্যটকরা প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবে। এমনটাই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় ইকোফিস-২ ওয়ার্ল্ডফিস এ উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইউএসএইড অর্থায়নে উপজেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন ও ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) এর বাস্তবায়ন করেছেন।

গত ৫ এপ্রিল কুয়াকাটা সৈকতের কাউয়ারচর জোনের ঝাউবন এলাকায় ৩শ’ ফুট বাঁশের বেড়া দিয়ে উপদ্রবহীন সৈকতে এ অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়। সৈকত এলাকাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে লাল কাকড়া বৃদ্ধিসহ কচ্ছপের ডিম পাড়াকে নিশ্চিত করে পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, লকডাউন চলার কারণে সীবীচের জিরো পয়েন্টের দুই পাশে অসংখ্য লাল কাকড়ার বিচরণ দেখা যায়। অভয়াশ্রম তৈরি করার ফলে প্রচুর পরিমাণে এর বংশবৃদ্ধি পাবে। আর পর্যটকরা এটি খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবে।

ইকোফিস-২ ওয়ার্ল্ডফিস পটুয়াখালী জেলা সহকারী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, এক সময় কুয়াকাটার ঐতিহ্য ছিল লাল কাকড়া। এগুলে ক্রমশই বিপন্ন প্রজাতি হয়ে যাচ্ছে। ইউএসএইড অর্থায়নে ওয়ার্ল্ড ফিস’র আওতায় ইকোফিস-২ জীববৈচিত্র সংরক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। লাল কাকড়ার বংশসহ পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার অংশ হিসেবে এ অভয়াশ্রম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, কুয়াকাটা সৈকতে লাল কাঁকড়া ও কচ্ছপের অবাধ বিচরণে অভয়াশ্রম সামুদ্রিক জীববৈচিত্র রক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host