ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, বরিশালে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সংকট

প্রকাশের তারিখ: মে ২৪, ২০২১ | ৭:২৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরী ছাড়া জেলার কোথাও নেই সাইক্লোন প্রিপারডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি) এর স্বেচ্ছাসেবক। এ কারণে জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের আগে সতর্কতামূলক প্রচারণা এবং পরে উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে চিন্তিত খোদ সিপিপি।

 

সোমবার (২৪ মে) দুপুরে জুম মিটিংয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সহায়তা কামনা করেছেন সিপিপি কর্তৃপক্ষ। সভায় জেলার ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলাগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের আবেদন করা হয়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুতির জন্য এই সভা করেছে বিভাগীয় প্রশাসন ও সিপিপি।

সিপিপি বরিশাল জোনাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার তিনটি ইউনিটে স্বেচ্ছাসেবক থাকলেও জেলার অন্য কোনো উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক নেই। বরিশাল জোনে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে ৩৩ হাজার ৪০০ জন।

এর মধ্যে পটুয়াখালী জেলায় রয়েছে ৫ হাজার ৬৪০ জন, ভোলায় ১৩ হাজার ৬০০, বরগুনায় ১১ হাজার ৬০০, পিরোজপুরে ১৭শ, বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৬০ জন এবং বাগেরহাটের শরণখোলায় রয়েছে ৯০০ স্বেচ্ছাসেবক।

সাইক্লোন প্রিপারডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি) বরিশাল জোনের উপ পরিচালক শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, বরিশাল সিটি বাদে আমাদের এই জেলার আর কোথাও কোনো স্বেচ্ছাসেবক নেই। বড় কোনো ঘূর্ণিঝড় এলে সেক্ষেত্রে উদ্ধার কার্যক্রমে আমাদের অনেক ঝামেলা হবে। বরিশাল জেলার হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ ও সদর উপজেলার একটা অংশ পুরোপুরি নদী বেষ্টিত ও ঝুঁকিপূর্ণ। এসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে সিপিপি’র কার্যক্রম চালু করা দরকার। কমপক্ষে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন বরিশাল জেলার ৫ উপজেলায়। এই জেলার গ্রাম গঞ্জে বা অসচেতন এলাকায় কোনো স্বেচ্ছাসেবক না থাকা এই মুহূর্তে আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়।

এই বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেই জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। এসব এলাকায় দ্রুত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়ার জন্য বলেছি।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host