ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বাঁধ-রাস্তার ক্ষতি

প্রকাশের তারিখ: মে ২৬, ২০২১ | ৮:৪৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে এরই মধ্যে বরিশাল নগসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বুধবার (২৬ মে) দুপুরের পর থেকেই কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন নগরীর পলাশপুর, রসূলপুর, জিয়ানগর, সাগরদি, সদর উপজেলার চরমোনাই, শায়েস্তাবাদ ও তালতলী এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। পানি ঢুকে পড়ায় বরিশালের বিভিন্ন উপজেলার বাঁধ-রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট, মাছের ঘের, ইরি ধান ও পানের বরজের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বহেরচরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাঁচটি ঘর জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে জয়নগর, দড়িচর-খাজুরিয়া, বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাঁধ, রাস্তা ও ব্রিজ-কালভার্টের ক্ষতি হয়। ভাঙনের মুখে পড়েছে দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার হাটের কমিউনিটি ক্লিনিক।

তবে, জোয়ারের সময় নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করলেও ভাটার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে, মুলাদী উপজেলায় কাজীরচর এলাকায় রাস্তা ভেঙেছে। হিজলা উপজেলায় ৩০০ মিটার বাঁধ ধসে গেছে। গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নে জোয়ারের পানি প্রবেশ করলেও এখন তা নামতে শুরু করেছে।

পাশাপাশি, বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া, শায়েস্তাবাদ, চন্দ্রমোহন ও চরমোনাই ইউনিয়নে জোয়ারের প্রভাবে প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন

জেলার ১০ উপজেলার ৩১৬ আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৭৫৫ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রাখা হয়েছে। উপজেলাগুলোয় প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টিম ও ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত রয়েছে — বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল।

তবে, জেলার বাবুগঞ্জ, উজিরপুর, আগৈলঝাড়া, বানারীপাড়া, হিজলা ও গৌরনদী উপজেলায় পানি উঠলেও তা নামতে শুরু করেছে। এসব এলাকায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল নিশ্চিত করেছে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host