পটুয়াখালীর কমলাপুর ইউনিয়নে ঘূর্নিঝড় ইয়াস ও জোয়ারের পানিতে সবগুলো গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশের তারিখ: মে ২৭, ২০২১ | ৫:৪৫ অপরাহ্ণ

মির্জা আহসান হাবিব ঃ ঘূর্নিঝড় ইয়াস ও পূর্নিমার জোয়ারে পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের সবগুলো গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
গত ২৬ মে বুধবার ঘূর্নিঝড় ইয়াস সরাসরি আঘাত না হানলেও তার প্রভাবে ও পূর্নিমার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় পটুয়াখালী জেলার সবগুলো উপজেলা। আর এতে করে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে কমলাপুর ইউনিয়ন এর সবগুলো গ্রাম।
ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও প্রবল বাতাসে কমলাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াবদা বেরী বাঁধ পুকুরের মাছ জমির ফসল ঘরবাড়ী ও হাঁস-মুরগির ক্ষতি হয়। এর মধ্যে বাহের মৌজ হাঁসখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের সামনের বেরীবাঁধ, জব্বার মৃধার বাড়ির পূর্ব পাশের ওয়াবদা বেরী বাঁধ, নুর হোসেন মাতবর বাড়ির পশ্চিম – দক্ষিণ পাশের ওয়াবদা বেরী বাঁধ, বটবলই কাঠির হোসেন গাজীর বাড়ির উত্তর পাশের ওয়াবদা বেরী বাঁধ, রহিম সরদারের বাড়ির নিকট ওয়াবদা বেরী বাঁধ, ইউসুফ হাওলাদার এর বাড়ির নিকটের ওয়াবদা বেরী বাঁধ, আশ্রাফ খানের বাড়ির সামনের ওয়াআদা বেরী বাঁধ, আলম হাওলাদার এর বাড়ির সামনে ওয়াবদা বেরী বাঁধ, নুরু শিকার এর বাড়ির সামনে ওয়াবদা বেরী বাঁধ, জাফর মল্লিকের বাড়ির সামনে ওয়াবদা বেরী বাঁধ, শাহজাহান হাওলাদার এর বাড়ির সামনে ওয়াবদা বেরী বাঁধ, পশ্চিম চন্ডিপুর জামে মসজিদের নিকট ওয়াবদা বেরী বাঁধ, চরমৈশাদী ঠোডার মাথার ওয়াবদা বেরী বাঁধ, দক্ষিন-পূর্ব চর মৈশাদীর বেরী বাঁধ এর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এছাড়াও এলাকায় ফসলী জমি,মাছের ঘের,কাঁচা ঘর বাড়ী, গাছপালা ও হাঁস-মুরগি ও খতি হয়।
ঘূর্নিঝড় ইয়াস ও জোয়ারের পানিতে ক্ষতির কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনির রহমান মৃধা বলেন আমার ইউনিয়ন পরিষদের সবগুলো ইউনিয়নে কমবেশী ক্ষতি হয়।বিশেষ করে বেরী বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় প্রায় সবগুলো গ্রাম। বেরী বাঁধসহ রাস্তা ঘাট ফসলী জমি,মাছের ঘের,ফসলী জমি ও হাঁস-মুরগি ‘র ব্যাপক ক্ষতি হয়। সরকারি সহায়তা ছাড়া এ সকল কার্যক্রম উঠিয়ে আনা সম্ভব নয়।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host