আমতলীতে ব্রিজ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ভোগান্তিতে ৮ গ্রামের মানুষ

প্রকাশের তারিখ: জুন ৯, ২০২১ | ৭:২৭ অপরাহ্ণ

বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর খালের মুছুল্লি বাড়ি সংলগ্ন আয়রন ব্রিজ মঙ্গলবার সকালে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে ৮ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ। দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ব্রিজ পরিদর্শনে লোক পাঠিয়েছেন।

২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর খালে মুছুল্লি বাড়ির সংলগ্ন স্থানে আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করে। ওই সময় ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় দুই বছরের মাথায় ব্রিজ নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ২০১২ সালে ওই ব্রিজের একটি অংশ দেবে যায়। গেল ৯ বছর ধরে দেবে যাওয়ায় ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ৮ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে।

মঙ্গলবার সকালে সোনাখালী পাড় থেকে মাঝখানের ব্রিজের অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর, গেরাবুনিয়া, সোনাখালী, দরিটানা, পশ্চিম সোনাখালী ও আমতলাসহ ৮টি গ্রামের।

যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে ওই ইউনিয়নের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ রয়েছে। দ্রুত ভাঙা ব্রিজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সোনাখালী পাড় থেকে মাঝখান পর্যন্ত ব্রিজ ভেঙে খালে পড়ে আছে। সকল যোগাযোগ বিছিন্ন। মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

গাজীপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মুসুল্লি ও বেল্লাল গাজী বলেন, মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করে সোনাখালী পাড়ের ব্রিজের একটি অংশ ভেঙে খালে পরে গেছে। এতে মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তারা আরও বলেন, প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়ে অন্তত ৩-৪ হাজার মানুষ চলাচল করতো। সেই মানুষগুলোর যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।

পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় নির্মাণের চার বছরের মাথায় ব্রিজ দেবে যায়। গত ৯ বছর ধরে ওই দেবে যাওয়া ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। এখন ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় ৮ গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার মানুষের চলাচলে ভোগান্তিতে পরেছে। দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করে মানুষের ভোগান্তি লাঘবের দাবী জানান তিনি।

আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ভাঙা ব্রিজ পরিদর্শনে লোক পাঠিয়েছি। পরিদর্শন শেষে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে বরগুনা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রতিবেদন দেয়া হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host