আমতলীতে যুবলীগ ও শ্রমিক লীগ নেতার হাত-পা কর্তনঃ ২৫ জনকে আসামী করে মামলা

প্রকাশের তারিখ: জুন ১২, ২০২১ | ৭:০৬ অপরাহ্ণ

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক হাসান মৃধাকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হাত ও পা কেঁটে দেওয়ার ঘটনার ২১ দিন পরে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ (শনিবার) রাত ১ টা ৩০ এর সময় ভিকটিম আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ১৫ ও অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামী করে আমতলী থানায় তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামী হিসেবে ঘটনার দিন বাদী ভিকটিম আজাদের সাথে থাকা অপর ভিকটিম উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান মৃধাকেও আসামী করা হয়েছে। এছাড়া অপর আসামীরা হলেন পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জিএম মুসা, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ হোসাইন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিন খানসহ ১৫ জন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত (২১ মে) রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওই ঘটনায় আহত ভিকটিম হাসান মৃধাকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নগদ ২ লক্ষ টাকাসহ ইটের অগ্রিম বায়না করার জন্য হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচিলা গ্রামে সারা ব্রিকসের অফিসে যায়। সেখানে পৌছে ইট ভাটাটি বন্ধ দেখে বায়না না করে তিনি আমতলীর উদ্দেশ্যে ফিরে আসার পথে পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে সদর ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামে পৌছাইলে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত আসামীরা তাদের মোটর সাইকেল থামাইয়া দেশিয় ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে তাকে এলোপাথারী কুপাতে থাকে। এতে আমার দুই হাতের বাহু, তালু, কব্জি, দু’পায়ের হাটু, গোড়ালি কুচি কুচি করে এবং অপর ভিকটিম হাসানের দু’হাতের বাহু ও কব্জি কেটে যায়। আমাকে মুমুর্ষ অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে আমার সাথে থাকা নগদ ২ লক্ষ টাকা আসামীরা ছিনিয়ে যায়। ওই সময় স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে বাদী আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান মুঠোফোনে বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান তার ভাগ্নেকে কোপানোর ঘটনার ২১ দিন পরে সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে দায়েরকৃত হত্যা চেষ্টা মামলায় আমাকে, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা- কর্মীদের নামে যে মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলাটি দায়ের করেছেন আমি এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহআলম হাওলাদার বলেন, ওই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ১৫ এবং আরো অজ্ঞাত ১০/ ১২ জনকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host