বৃক্ষ প্রেমিক মিথুন

প্রকাশের তারিখ: জুন ২৬, ২০২১ | ৬:১২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পেশায় শিক্ষক, বয়সে তরুন।ছোটবেলা হতেই গাছ লাগানোর মধ্যে আনন্দ খুজেপায় মিথুন।রাস্তার পার্শ্বে বা সামাজিক জায়গায় কোথাও খালি জমি পেলেই দু একটি গাছ লাগায় সে। সবুজের সমারহ তার নিজ এলাকায় কৃষ্ণ চূড়া গাছ কম। মিথুন উদ্যোগ নেয় গোটা ইউনিয়নে কৃষ্ণ চূড়া গাছ ছড়িয়ে দেয়ার।যেই ভাবা সেই কাজ।মিথুন এবছর নিজ উদ্যোগে কৃষ্ণ চূড়া গাছের চাড়া লাগাতে শুরু করে ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা,ময়দান, মসজিদ, বিদ্যালয়ের পার্শ্বে।এলাকাবাসী কেউ কৃষ্ণ চূড়া লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদেরকে বিনামূল্যে চাড়া বিতরন করে সে।এভাবে এবছর শতাধিক কৃষ্ণ চূড়া গাছের চারা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় রোপন করা হয়েছে।শুধু কৃষ্ণচূড়া নয় খেজুর, তাল, আর্জুন, আমলকী, বহেরা, জলপাই,সোনাইল,বটসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চাড়া পর্যায়ক্রমে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে মিথুনের। বয়সে তরুন হলেও সামাজিক কর্মকান্ডে ইউনিয়নবাসীর প্রীয়তা লাভ করেছে সে।১৯৮৮সনে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ৯নং গুঠিয়া ইউনিয়নের বৈরকাঠী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। মো:আইয়ুব আলী হাওলাদার ও মোসাম্মত মনোয়ারা বেগম দম্পতির প্রথম পুত্র সন্তান ।মিথুনের বড় ৬ বোন থাকায় আদর সোহাগে বড় হয়েছে সে। বৈরকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ৫ম শ্রেণী, ডহরপাড়া এসডিইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এস এসসি, গুঠিয়া আইডিয়াল কলেজ হতে এইচএসসি এবং ব্রজমোহন কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্য স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছে মিথুন।ছোটোবেলা হতেই এলাকার সকলের সুখ- দুঃখে সাথী হয়ে আছে মিথুন।এলাকার কোনো সামাজিক উদ্যোগে অগ্রনী ভূমিকায় থাকছে সে।কোন অপসংস্কৃতি তাকে স্পর্শ করতে পারেনি।মিথুন বলেন “আমাদের ইউনিয়ন সবুজে ঘেরা। কৃষ্ণচূড়া বাড়তি সৌন্দর্য যোগাবে।তাছাড়া ফুল ফল,ঔষধি গাছের অভয়ারণ্য গড়ে উঠবে এ ইউনিয়নে”। ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রকৃতি প্রেমী হতে উৎসাহ যোগাবে মিথুনের উদ্দোগ পাশাপাশি বাড়তি অক্সিজেন পাবে এলাকাবাসী এমন মত প্রকাশ করছেন গুঠিয়া ইউনিয়নের প্রবীন শিক্ষক ও সমাজ সেবীরা।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host