কুয়াকাটায় নিখোঁজের ১৩বছর পর মায়ের কোলে ফিরলো সন্তান। 

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ৯, ২০২১ | ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ
হোসাইন আমির, কুয়াকাটা -প্রতিনিধি:  “মা আমি সাগরে থেকে ফিরে তার পার ভাত খাব” মা মিনারা ও চার মাসের নতুন বউকে  এমন কথা বলে কুয়াকাটা সমুদ্রে খুটা জালের মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মিলন  (৩০) নামসহ আরও দুজন। সেদিন ছিলো ২০০৮ সালে অক্টোবর মাসের শুক্রবার  সকাল থেকে বিকাল গড়িয়ে গেলে সাগরে আবোহাওয়া তেমন ভালোনা এ অবস্থা খারাপ সৈকতের পারে জেলের আত্মীয় স্বজনরা ভীর করে সাগরে থাকা মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের আশায় সবাই ঘাটে ফিরে আসলেও মিলনসহ আরও ২ জন জলে আর ফিরে আসেনি। কান্নার রোল পরে যায় এলাকা জুড়ে। সন্ধ্যানের জন্য অনেকে চেষ্টা চালায় অসহায় জেলে পরিবারগন।  মা মিনারা বুকফাটা কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়। গ্রামের সবাই একনজর দেখতে যায় দুঃখীনি মা আর নতুন বউর মুর্রচা খাওয়ার দৃশ্য। মাস বছর পেরিয়ে গেছে ১৩ বছর। আজ সন্তান তার মায়ের বুকে ফিরছে তাও আবার ভারসাম্যহীন। দুঃখের পর আরও বড় দুঃখ এখন ওই অসহায় পরিবারের।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই)  দুপুর ১ টার দিকে নিখোঁজ মিলনকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে তার পরিবার। এখবর ছড়িয়ে পরলে শত,শত এলাকার  মানুষ সৈকতে ভীর জমায় মিলনকে একনজর দেখতে। এর আগে গত দুইদিন আগে এক আত্নীয়’র মাধ্যমে শুনতে পারে পাশ্ববর্তী জেলা বরগুনার তালতলী উপজেলায় তাঁকে রাস্তায় পাগল বেশে দেখতে পেয়েছে।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে তালতলীতে গিয়ে মিলনের মা মিনারা বেগম ও ভাই রুবেল আকন তার পরিচয় নিশ্চিত করে সমুদ্র পথে ট্রলারযোগে বাড়িতে নিয়ে আসে।
মিলনের বাবা শাহ-আলম আকন বলেন, আমার ছেলে মিলন সিডরের পরের বছর ২০০৮ সালে খুটা জালের সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল।  বন্যার কারনে নৌকায় থাকা তিনজন জেলেসহ নৌকা নিখোজ হয়।অনেক খোঁজা খুজি করেছি তাদেরকে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর,হঠাৎ দু’দিন হলো শুনতে পেয়েছি আমার ছেলে মিলনকে নাকি পাওয়া গেছে তালতলী। পরে ওর মা গিয়ে নিয়ে আসছে এবং এটা যে আমার ছেলে তা আমি পুরোপুরি নিশ্চিত।
মিলনের মা মিনারা বেগম জানান, আমার ছেলেকে আমি দীর্ঘ ১৩ বছর পর আমার বুকে ফিরে পেয়েছি। আমি অনেকদিন এই সাগর পারে পারে ছেলের খোঁজে দিন কাটিয়েছি। আজ আমার আর কোনোকিছু চাওয়ার নেই, আমার ছেলেটা এখন মানসিক অসুস্থ। আমি এখন ওরে চিকিৎসা করাবো তার। তবে এই সাগর পারে থাহি ভিটা বাড়ী নাই যে তা বিক্রী করে ছেলেকে আমি ডাঃ দেখাব।  এখন আমরা অসহায় আমাদের সাহয্যর দরকার সরকারের প্রতি দাবী জানাই আমার অসুস্থ ছেলেকে যেন সুস্ত করতে পারি।  কুয়াকাটার পৌর কাউন্সিলর মনির শরিফ বলেন আমি খবর পেয়ে যাই ও মিলনকে দেখি চিনতেও পারি। তবে আমার ব্যক্তিগত ভাবে আমি তাদের পাশে আছি থাকবো
পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার দৈনিক মানবজমিনকে বলেন এ ঘটনা আমি শুনেছি এখন আমি দুরে আছি এলাকায় গিয়ে দেখা করবো ও যতটুকু পারি পৌরসভা থেকে সাহয্য করবো

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host