ঝালকাঠিতে প্রশিক্ষণার্থীদের অর্থ লুটে বেকায়দায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরীন

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ১৮, ২০২১ | ৪:০০ অপরাহ্ণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: কাঠালিয়ায় আইজিএ প্রকল্পের অর্ধশত প্রশিক্ষণার্থীদের যাতায়াত ভাতার লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাসরীন আক্তার ও তার সহযোগী অফিস সহকারী বেকায়দায় পরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘করোনার কারনে সরকার টাকা অর্ধেক দিয়েছে’ প্রচার করে এই কর্মকর্তা ও তার সহযোগী অফিস সহকারী প্রশিক্ষণার্থীদের এই অর্থ লোপাটের চেষ্টাকালে উভয় পক্ষের বাক-বিতন্ডা ও প্রতিবাদে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এ অবস্থায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক সদসস্যের হস্তক্ষেপে পিঠ বাঁচাতে আলোচিত কর্মকর্তা নাসরীন আক্তার ও অফিস সহকারী হোসনেয়ারা প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে নেয়া লক্ষাধিক টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য হয়েছে। গত ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে ।

এ বিষয় কাঠালিয়া গ্রামের বিউটিফিকেশনের প্রশিক্ষনার্থী লিমা, একওই ট্রেডের পশ্চিম আউরা গ্রামের নাসরিন আক্তার জানান, নাসরীন ম্যাডাম আমাদের কাউকে ২৫০০ আবার কাউকে ৩০০০ টাকা দেন। কিন্তু আমাদের সকলের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকার চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। আমরা কারন জানতে চাইলে নাসরীন ম্যাডাম জানান, করোনার কারনে সরকার টাকা অর্ধেক দিয়েছেন, তাই তোমাদেরকে টাকা কম দিয়েছি। এ কথায় আমরা চেচা-মেচি শুরু করলে গোয়েন্দা সংস্থার একজন স্যার এসে আমাদের হাতিয়ে নেয়া টাকা ফেরৎ দিতে বলেন ম্যাডামকে।

একই টেড্রের আমরিবুনিয়া গ্রামের খাদিজা জানান, আমার প্রশিক্ষণ নিতে যাতায়াতে অটো ভাড়া খরচ হয়েছে প্রায় ৪০০০ টাকা, সেখানে আমাকে যদি ৩০০০ টাকা দেয়া হয়। করোনাকালীন সময় এর চেয়ে বড় কষ্ট আর কি হতে পারে। আমাদের গরীবদের টাকা মেরে উনি (নাসরীন আক্তার) প্রাইভেট কারে ঝালকাঠি থেকে কাঠালিয়া আসেন।

মশাবুনিয়া গ্রামের ফ্যাশন ডিজাইন টেড্রের লাইজু, একওই টেড্রের আমুয়া গ্রামের সম্পা ও কাঠালিয়া গ্রামের বিউটিফিকেশন টেড্রের মিমিয়া জানান, আমাদের প্রত্যেকের নামে একাউন্টের অনুকুলে ৬০০০ টাকা সরকার জমা করেছেন। টাকা উত্তোলণের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস সহকারী হোসনেয়ারা আপা ৬০০০ টাকার চেকে আমাদের স্বাক্ষর নিয়েছেন। অথচ টাকা দিয়েছেন কম। এনএসআই’র সদস্য মোঃ হাফিজ ভাইয়ের হস্তক্ষেপে আমরা টাকা ফেরৎ পেয়েছি।

এ বিষয় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) নাসরীন আক্তার বলেন, যারা সব কয়দিন ক্লাস করেননি তাদের ভাতার টাকা কাটা হয়েছিলো। কিন্তু আমার অফিস সহকারী হোসনেয়ারা চেকে ৬০০০ টাকা লিখেছেন, আমি সেটা জানতাম না। তবে বিষয়টি ভুল হয়েছে। পরে কর্তনকৃত টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে। তবে তার অজান্তে প্রশিক্ষণার্থীদের চেকে অফিস সহকারীর স্বাক্ষর নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে কিনা জানতে চাইওে তিনি অসংলগ্ন উত্তর দেন।’’

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host