বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বাবুগঞ্জের মোহনগঞ্জ বাজারে মরণব্যাধি করোনাভাইরাসকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে গরু ও ছাগলের জমজমাট হাট বসার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে ইজারাদার কতৃক মাত্রাতিরিক্ত খাজনা আদায়ের।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে লকডাউন শিথিল করে পশুর হাটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত হিসেবে প্রশাসনিক কিছু বিধিবিধান মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।
শর্ত পালনের অঙ্গীকারে পশুর হাট চালু হলেও বাস্তবে শর্ত বা বিধিবিধানের কথা সবাই ভুলে গেছেন। ফলে এখন চলছে গাদাগাদি অবস্থায় উপচে পড়া ভিড়ে মানুষ-পশু একাকার হয়ে। সেনিটাইজার ব্যবহারের ও মাস্ক পরিধানের ব্যবস্থা করা হয়নি এখানে।
সরকার ঘোষিত নিয়মকে তোয়াক্কা না করে কিভাবে হাট চলছে তা নিয়ে সর্বত্র ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৮ জুলাই ) বিকেলে সরেজমিনে বাবুগঞ্জ উপজেলা মোহনগঞ্জ গরু ও ছাগলের হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই।রাস্তার উপরেই গাদাগাদি করে কেনাবেচা করা হচ্ছে গরু ও ছাগল।
মাস্ক নেই ক্রেতা, বিক্রেতা ইজারাদারদের লোকদের মুখেও। নেই সামাজিক দূরত্ব।
এছাড়াও অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ক্রেতাদের।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন সময় উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, মাস্ক বিতরণ ও মোবাইল কোটে জরিমানা করা হয়। ঠিক একই সময় স্বাস্থ্য বিধি না মেনে কিভাবে এসব হাটে গরু ছাগল কেনা বেচা হচ্ছে তা নিয়ে সর্বত্র হইচই পড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে মোহনগঞ্জ হাট-বাজারের ইজারাদার বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে মাইকিং করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবাইকে স্বাস্থ্যসচেতন থেকে সরকারি বিধি মানতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট-বাজারে গরু-ছাগল কেনাবেচা করতে বলা হয়েছে।