জোয়ারের পানিতে পটুয়াখালীর অর্ধশত চর প্লাবিত

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ২৫, ২০২১ | ৮:০২ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক :: পূর্ণিমা ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে জোয়ারের পানিতে পটুয়াখালীর অর্ধশত চর প্লাবিত হয়েছে। রোববার দুপুরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ফুট বৃদ্ধি পেয়ে জেলার উপকূলীয় রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, কলাপাড়া, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, বাউফল, দুমকি ও সদর উপজেলার অর্ধশত চর ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়।

রোববার দুপুরে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে পটুয়াখালী পৌর শহরের মধ্যেও। শহরের নতুন বাজার, পুরান বাজার, সেন্টারপাড়া, নিউমার্কেট এলাকাসহ বিভিন্ন সড়কে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে।

রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া এলাকার মো. কবির সিকদার (৫২) বলেন, গত দুই দিন ধরে জোয়ারের পানিতে রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি তলিয়ে যায় এবং কোথাও কোথাও বসত ঘরেও জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। এতে আমাদের চার/পাঁচ ঘন্টা পানির মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে। যতদিন বেড়িবাঁধ না হবে, ততদিন আমাদের এ দুর্ভোগ যাবে না।

কোথাও কোথাও বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে যায় মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। এতে দিনে ও রাতে চার-পাঁচ ঘন্টা দূর্ভোগে কাটাতে হয় উপকূলবাসীকে।

পূর্ণিমা তিথি ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত শনিবার থেকে উপকূলের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে এবং রোববার জোয়ারের পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়ার পুরো ইউনিয়নসহ চর লতা, চর কাসেম, চর আন্ডা, চর গঙ্গা, চর কলাগাছিয়া, চর জাহাজমারা, চর বেষ্টিন ও চর মোন্তাজ, গলাচিপা উপজেলার চর বাংলা, চর হালিম, চর নাজির, চর কাজল, চর বিশ্বাস, দশমিনা উপজেলার হাদি, চর বোরহান, বাউফল উপজেলার চর চন্দ্রদ্বীপ, চর ফেডারেশন, চর ব্যারেটসহ জেলার অর্ধশত চর ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়।

এভাবে প্রতিদিন রাতেও এক দফা প্লাবিত হয় উপকূলের এসব জনপদ। এ সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপকূলবাসীকে।

এ ব্যাপারে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান বলেন, এ ইউনিয়নের সিংহভাগ বেড়িবাঁধই বিধ্বস্ত এবং এই বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে দফায় দফায় জোয়ারের পানি ঢুকে মানুষের কষ্টার্জিত ক্ষেতের ফসলসহ বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে একটি টেকসই বেড়িবাঁধ দরকার জরুরিভিত্তিতে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host