বাবুগঞ্জে শিক্ষক নেতা জামাল’র চাঁদাবাজী

প্রকাশের তারিখ: জুন ৯, ২০২০ | ১১:৫৯ অপরাহ্ণ

রিপোর্ট আমিনুল শাহীন—

বাবুগঞ্জে করোনা প্রকোপের মধ্যেও থেমে নেই শিক্ষক নেতা জামালের চাঁদাবাজী। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জিম্মী হয়ে পড়েছেন সহকারী শিক্ষক জামালের কাছে। মো: জামাল হোসেন বাবুগঞ্জ উপজেলার হিজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতার নাম ভাঙ্গিয়ে শিক্ষকদের জিম্মী করাই তার মূলকাজ।
বিদ্যালয় সময় না দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে যাতায়াতের নামে তদবীর বাণিজ্য তার প্রধান কাজ। নিয়মিত ক্লাস না করানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে তার সখ্যতা থাকায় কোন অভিযোগই আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বরং অভিযোগ কারীদের সহ্য করতে হয় লাঞ্চনা গঞ্জনা। শ্রান্তি বিনোদন ভাতা হোক বা বিদ্যুৎ বিল পাশ করানো হোক সকল ক্ষেত্রেই শিক্ষক জামালের হস্থক্ষেপ রয়েছে।
জামাল হোসেন কাগজপত্রে শিক্ষক হলেও কাজ করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসে। অফিসিয়াল কাজ করার সুবাদে শিক্ষকদের জিম্মী করতে সহজ হয়েছে তার। বদলী বাণিজ্য ও অবসরকালীন টাকা উত্তোলনে মোটা অংকের পকেট ভাড়ী হয় শিক্ষক জামালের। শিক্ষক হয়ে শিক্ষকদের গোপনীয়তাকে পুঁজি করে শিক্ষকদের অর্থনৈতিক ভাবে হয়রানীর অভিযোগ প্রতিনিয়ত। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, ‘অহেতুক আমাদেরকে হয়রানীর শিকার হতে হয় জামালের কাছে। করোনা কালীন সময়েও থেমে নেই জামালের অর্থবাণিজ্য’। এব্যাপারে অভিযুক্ত জামাল হোসেন বলেন, আমি কোন প্রকার চাঁদা তুলিনা, তবে কোন শিক্ষক ঝামেলায় পড়লে তার সহযোগীতা করি। কেউ আমার বিরুদ্ধে চাঁদার অভিযোগ আনতে পারবেনা।
এব্যাপারে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমতির সভাপতি জাহিদুর রহমান শিকদার বলেন, ‘ নিরব চাঁদাবাজীর শিকার শিক্ষকরা’
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আকবর কবীর বলেন, ‘ অফিসে জনবল কম থাকায় জামাল হোসেন কিছু অফিসিয়াল কাজ করে। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত চাঁদাবাজীর ব্যাপারে আমার জানা নেই। আমি ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবো।’

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host