পটুয়াখালীতে গলাচিপায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর গর্ভপাত

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ২৯, ২০২১ | ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক :: পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর অন্তঃসত্তা হলে জোরপূর্বক গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মো. নাঈম সরদার (২০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় মামলা হয়েছে।

নাঈম দশমিনা উপজেলার চানপুরা গ্রামের মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোরী গলাচিপা উপজেলার কালাই কিশোর গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার রাতে ওই কিশোরী বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় নাঈমের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এদিকে গর্ভপাত হওয়া সন্তানটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার পর ডিএনএ’র স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ছোটবেলা থেকে নাঈম তার বাবা-মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বসবাস করে আসছে। নাঈম প্রায়ই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বিয়ের ব্যাপারে জরুরি কথা আছে বলে নাঈম কিশোরীকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়াও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে নাঈম কিশোরীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ করা হয়।

একপর্যায়ে কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কোনো উপায় না পেয়ে বিষয়টি কিশোরী তার বাবা-মাকে জানায়। কিশোরীর বাবা-মা নাঈমকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রথমে তালবাহানা করলেও পরে সে বিয়ের জন্য রাজি হয়। এরপর গত ২৪ জুলাই বিয়ের কথা বলে নাঈম কিশোরীকে পটুয়াখালীর অজ্ঞাত একটি বিল্ডিংয়ে নিয়ে ৩-৪ জনের সহযোগিতায় জোরপূর্বক কিশোরীর গর্ভপাত ঘটায়। গর্ভপাত হওয়া সন্তানটি একটি সাদা প্লাস্টিকের কৌটার ভিতরে কিশোরীর বাড়িতে রক্ষিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি ন্ঈামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কিশোরীকে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। তার গর্ভপাত হওয়া সন্তানটির ময়নাতদন্ত করে ডিএনএ করার জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host