প্রকৃতির ডাকে বাইরে যাওয়া গৃহবধূকে দলবেধে ধর্ষণের চেষ্টা

প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ২১, ২০২১ | ৭:২৩ অপরাহ্ণ

জাহিদ হাসান:   ২৫ বছরের এক গৃহবধুকে দল বেধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে তিন যুবকের নামে মামলা হয়েছে।

গত শনিবার (১৪ আগষ্ট) এই ঘটনা ঘটে বলে ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, পান্নু মাতুব্বর এর ছেলে হৃদয় মাতুব্বর (২৬), চুন্নু মাতুব্বর এর ছেলে আল-আমিন মাতুব্বর (২৫) এবং কালাম মাতুব্বর এর ছেলে জাহিদ মাতুব্বর (২৩)। এরা সকলেই মাদারীপুর সদর উপজেলা কুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা।
দায়েরেরকৃত মামলার তথ্য মোতাবেক জানাযায়, হৃদয় এবং তার দুই সহযোগী আল-আমিন ও জাহিদ উক্ত গৃহবধূকে অনেক দিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। এক পর্যায়ে তারা গৃহবধূকে সরাসরি কুপ্রস্তাব দিলে সে তাদেরকে গালাগালি করে। এতে হৃদয় সহ তার দুই সহযোগী তার উপর চড়াও হয়। উক্ত গৃহবধূর চরিত্র হরনের সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
গত শনিবার (১৪ আগষ্ট) রাত ১১ টার দিকে ওই গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টর্চ লাইট নিয়ে বাড়ির বাইরে গেলে তারা তিন জন ওই গৃহবধূর উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে গৃহবধূর চিৎকার শুনে আশেপাশে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। তখন হৃদয় ও তার দুই সহযোগী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত গৃহবধূ জানায়, হৃদয়, আল আমিন ও জাহিদ আমাকে অনেক দিন থেকে বিরক্ত করতো। আমি অনেক বার তাদের বাড়িতে বিচার দিয়েছি। ঘটনার দিন তারা ওৎ পেতে ছিল আমাকে নির্যাস কররার জন্য। আমার হাতে টর্চ লাইট থাকতে আমি তাদের দেখতে পেয়েছি। ওরা আমাকে প্রথমে মুখ চেপে ধরে রেখেছিল। আমি মুখ ছাড়িয়ে চিৎকার দিলে তার পালিয়ে যার এবং আশেপাশের লোকজন এসে আমাকে বাঁচায়। আমি ওদের বিচার চাই।
অভিযোগকারীর স্বামী কবির মাতুব্বর বলেন,আমি ঢাকায় থাকি এই সুযোগে হৃদয়ও তার লোকজন আমার স্ত্রীর সাথে যে খারাপ কাজগুলো করেছে আমি সরকারের কাছে বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর উপজেলা কুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব দৌলতপুর একলাবাসী জানায়, হৃদয় এর আগেও অনেকে মেয়েকে নির্যাতন করেছে। ওরা তিন জন এলাকার ঘুরে ঘুরে মেয়েদের উত্যক্ত করাই ছিল তাদের কাজ। এলাকায় বখাটে ছেলে হিসেবে পরিচিত তারা। আমারা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে চাই ওদের বিচার হোক।
একই এলাকার আলতাফ হোসেন বলেন, দীর্ঘ এক বছর ধরে এলিনা নামের এক মেয়েকে হৃদয় বিভিন্নভাবে বিরক্ত করে চলছে স্থানীয় সালিশি মীমাংসা করে দেওয়ার পরেও আমাদের কথা অবাধ্য হয়ে তারপর সে বিরক্ত করে চলছে আমরা সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত হৃদয়কে না পেয়ে তার মার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে হৃদয়ের মা বলে, আমি এই বিষয় কিছু জানিনা। আমি অসুস্থ।

এ ব্যাপারে এ্যাডভোকেট নাসরিন খান সুমি (জর্জ কোর্ট মাদারীপুর) বলেন, আমি সবেমাত্র মামলাটি ফাইলিং করেছি। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আমলে নিয়ে কোর্ট খোললে পরবর্তী কার্যক্রম জানা যাবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host