কাটছে বালু ॥ ভাঙ্গছে জনপদ ! নির্বাক অসহায় মানুষ

প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ২২, ২০২১ | ১:০১ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: তেতুলিয়া নদীতে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। অব্যাহত বালু উত্তোলনে দিনে দিনে শান্ত তেতুলিয়া নদী ভেঙ্গেই চলছে। নিঃশ্ব হচ্ছে শত শত অসহায় পরিবার । নির্বাক অসহায়ের মতে মুখ বুজে আছে সাধারন মানুষ গুলো। বিধাতার কাছে দু হাত তুলে নালিশ দেয়া ছাড়া তাদের কোন গতি নেই। এমনই অবস্থা বাঘমারা ব্রীজ থেকে ভোলার সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী ভোলা ১ আসনের এমপি তোফায়েল আহমেদের বাড়ির পিছনের নদী পর্যন্ত। এ অপ্রতিরোধ্য বালু দস্যুরা সরকারে দলীয় বলে দমন হচ্ছেনা এমনটা প্রশ্ন ভুক্তভোগিদের।
বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়, তেতুলিয়া নদীর বালুর উপর ভিত্তি করে দক্ষিণ দিঘলদি ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গড়ে উঠেছে নতুন নতুন একাধিক বালু মহাল। এখানে সব লোকাল বালুই আসে তেতুলিয়া নদী থেকে। একটি সিন্ডিগেট এ ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে ক্ষমতার দাপটে। ঔই সিন্ডিগেটের হোতা রাস্তার বালু প্রতি প্রতি ফুটে নিচ্ছে ত্রিশ পয়শা ও বালু মহালের বালুর প্রতি ফুটে নিচ্ছে পঞ্চাশ পয়শা। এমন অভিযোগে পাওয়া গেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে। কোনভাবেই থামছেনা এ বালু উত্তোলনের মহোৎসব।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, হারুন গাজী, ফারুক মাঝি, নুরনবী, বজলু হাওলাদার ও জামাল মেম্বার, তাদের ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টাই চলে বালু উত্তোলনের কাজ প্রতিদিন বড় বড় জাহাজে করে বালু পাড়ে এনে খালাশ করা হচ্ছে। আর এ বালু চলে যায় বিভিন্ন মহালে ও ভোলার ফোরলেন রাস্তার কাজে। মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ হলেও শান্ত নদী তেতুলিয়ায় বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন।
বালু কাটার ফলে শান্ত তেতুলিয়া নদী এখন অশান্ত হয়ে উঠেছে। তেতুলিয়া নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন আতংক। প্রতিদিন সর্বহারা হচ্ছে এ জনপদের মানুষগুলো। ভাঙ্গনের তীব্রতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অব্যাহত ভাঙ্গন রোধে সর্বহারা মানুষ গুলো এখন প্রধান মন্ত্রীর সু দৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে ভোলার জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন কোন কর্তা ব্যাক্তিরা বক্তব্য দিতে রাজি হননি। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host