আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে পটুয়াখালীতে বিরোধীয় জমিতে স্থাপনা নির্মানের উদ্যোগ

প্রকাশের তারিখ: সেপ্টেম্বর ১, ২০২১ | ৬:০৬ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিম হেতালিয়া গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিরোধীয় জমিতে স্থাপনা নির্মানের উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। একটি হিন্দু পরিবার এ নিয়ে সদর থানায় মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি সাধারন ডায়েরি করেছে বলেও দাবি প্রতিপক্ষের। স্থানীয়রা জানায়, জমি-জমা নিয়ে পশ্চিম হেতালিয়া গ্রামের মোঃ কবির হোসেন বিশ্বাস গংদের সাথে সুশান্ত পাল গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে ২০৬/২০০৫ নং দেওয়ানী মামলা হলে পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারি জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মোঃ শহীদুল্লাহ ওই জমিতে ২০০৮ সালের ৬ জুলাই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন এবং মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। কিন্তু আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ২৯ আগষ্ট রবিবার সুশান্ত পাল তাদের গোত্রীয় কিছু লোকজন নিয়ে ওই জমিতে গ্রামীণ ব্যাংকের কেন্দ্র ঘরের সাথে একটি টিনের চালা দেয়ার চেষ্টা করলে কবির হোসেন গং তাদের বাধা দিলে তারা কবির হোসেন ও তার লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালাগালাজ করেন। পরে সুশান্ত বাদি হয়ে কবির হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী থানায় অভিযোগ দিয়ে একটি মিথ্যা জিডি দায়ের করে। আসামিরা তাদের ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে ঘর কুপিয়ে ও ভাংচুর করে। তাদের মারধর করা হয় বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু স্থানীয়রা জানায় তাদের মধ্যে কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি।ঘটনাস্থলে উপস্থিত সুনিল চন্দ্র পাল জানান, তারা কবির হোসেন গংদের কাছে বিরোধীয় জমি বিক্রি করেছেন। জমিতে কেন্দ্র ঘরের সাথে চালা দেয়া নিয়ে কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি।অভিযোগকারির চাচী মালতী বানী পাল জানান, কেন্দ্র ঘরের সাথে চালা দেয়া নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে তবে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। মামলাও আছে।নাসির উদ্দিন বিশ্বাস জানান, আমি ঘটনার দিন চিকিৎসা নিতে ঢাকায় ছিলাম এবং পরদিন সোমবার সকালে পটুয়াখালীতে ফিরে এসেছি। তবুও আমাকে মিথ্যাভাবে ওই জিডিতে আসামি করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।কবির হোসেন বিশ্বাস জানান. এ জমি আমরা সাব কবলা দলিল মূলে কিনেছি। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান এবং নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। তবুও প্রতিপক্ষ এ জমিতে নানা ধরনের বিরোধ সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host