
পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে “গুণগত মানসম্পন্ন শুটকি ও মাছের পাউডারের মাধ্যমে গর্ভবতী, দুগ্ধদানকারী নারী ও শিশুদের পুষ্টি এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমীর সহযোগীতায় গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
পবিপ্রবি’র মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক ও ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক বিশিষ্ট মাৎস্য বিজ্ঞানী ড. সাজেদুল হক।
কর্মশালায় সহযোগী প্রধান গবেষক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর এবং মৎস্য বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন ও নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ ও মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির কারিগরি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. আবু তৈয়ব আবু আহমেদ জুম প্লাটফর্মে কর্মশালায় সংযুক্ত হন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও পুস্টিসমৃদ্ধ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার ঘোষনা দিয়েছে। মাছ থেকে আমরা বিপুল পরিমান আমিষ পেতে পারি। টাটকা মাছের বিকল্প হিসেবে শুটকি মাছ অন্যতম পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে নিরাপদ হওয়া অধিক জরুরী। এছাড়া মাছের পাউডার বর্তমান সময়ে উন্নত বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়।
উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে অত্র এলাকা তথা উপকূলীয় এলাকার শুটকি উৎপাদনকারীরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে নিরাপদ ও উন্নত পুষ্টি গুন-সম্পন্ন শুটকি উৎপাদন করে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করেন তিনি।