পুলিশের দুরদর্শীতায় চরামদ্দির সেই ১১লাখ টাকা ছিনতাইকারী এখন শ্রীঘরে

প্রকাশের তারিখ: অক্টোবর ১১, ২০২১ | ১১:৪৮ অপরাহ্ণ

বরিশাল বাণী: বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিকাশ এজেন্টের টাকা ছিনতাই মামলার আসামি আল মামুন গত ৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১ টার সময় বাকেরগঞ্জ পৌরসভার টিএনটি রোড নামক স্থানে ছিনতাই করার উদ্দেশ্য এক ব্যাবসায়ীর উপর হামলা করলে ব্যাবসায়ীর চিৎকার দিলে স্থানীয় জনগন এসে আহত অবস্থায় ওই ব্যাক্তিকে উদ্ধার করেন এবং ছিনতাইকারী মামুনকে ধরে ফেলেন।

বিষয়টি থানায় জানতে পেরে এস আই মাইনুল ইসলাম, এ এস আই ফারুখ হোসেন,এ এস আই হাফিজ ঘটনাস্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে ১৮ মার্চ ২০২০ সালে বিকাশের টাকা ছিনতাই একটি মামলা রয়েছে বলে থানা পুলিশ নিশ্চিত হয়।

উক্ত তথ্যের বিষয় নিশ্চিত হলে, বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চৌকস পুলিশ ইন্সপেক্টর) আলাউদ্দিন মিলন বিকাশ এজেন্টের টাকা ছিনতাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমির হোসেন এর মাধ্যমে আসামিকে কোর্টে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিনতাইয়ের ঘটনার তথ্য উদঘাটনের জন্য বরিশাল আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের অনুমতি চাইলে আদালত আমলে নিয়ে তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৯ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামীকে কোর্টের মাধ্যমে থানায় নিয়ে আসা হয়।

জিজ্ঞাসবাদ শেষে আসামীকে ১১তারিখ আদালতে প্রেরণ করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আমির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জিজ্ঞেসাবাদে আসামি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা স্বীকার করেন এবং ছিনতাই হওয়া বিকাশের টাকা থেকে এক লক্ষ টাকার সে ভাগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৮ মার্চ ২০২০ ইং তারিখ দুপুরে বিকাশ এজেন্টের ১১ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের কালিদাসিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্তে ঘটনার দিনই বাকেরগঞ্জ থানায় ৩ জনকে আসামী করে অথরাইজড অব বিকাশ লিমিটেডের বরিশালের ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাদ সাঈদ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মাহাবুব উদ্দিন সরদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও এলাকায় মামুনের বিরুদ্ধ মাদক ,সন্ত্রাসী, ছিনতাই সহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host