সড়ক দখল করে চলছে অবৈধ স-মিল ব্যবসা

প্রকাশের তারিখ: অক্টোবর ২২, ২০২১ | ১২:২২ পূর্বাহ্ণ

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রবেশ পথের প্রধান প্রধান সড়কগুলো দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স-মিল। ওই সড়কেই চলছে প্রভাবশালীদের অবৈধ কাঠ বাণিজ্য। এসব অবৈধ স-মিল মালিকদের বৈধ কাগজপত্র চেয়ে একাধিকবার নোটিশ দেয়া হলেও অনেকে তা কর্ণপাত করেনি বলে জানিয়েছেন রাঙ্গাবালী রেঞ্জ কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কয়েকটি স-মিল (করাত-কল) ঘুরে দেখা যায়, সড়কের দু’পাশে বড় বড় গাছের গুঁড়ি রেখে সড়ক দখল করে রেখেছে অবৈধ স-মিল ব্যবসায়ীরা। এ কারনে পথচারীসহ মটরসাইকেল, ট্রলি ও ভারী যানবাহন চলাচলে স্বাভাবিক মাত্র ব্যাহত হচ্ছে। করাতকল বিধিমালা ২০১২ এর ৩ (১) ধারা মোতাবেক বিনা লাইসেন্সে করাতকল স্থাপন,পরিচালনা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী ও শাস্তি যোগ্য অপরাধ। রাঙ্গাবালী রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছয় ইউনিয়নে ৪৫ টি অবৈধ স-মিল গড়ে উঠেছে। যার একটারও বৈধকাগজপত্র নেই। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক দিয়ে পধচারী ও কয়েক’শ ভারী যানবাহন চলাচল করে। ওই সড়কে এলোমেলো ভাবে গাছের গুঁড়ি রাখায় দুর্ঘটনা বেড়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা ও পথচারীদের ভোগান্তি লাঘবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান তারা। ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ‘ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ’ এর মালিক আকবর প্যাদা জানান, তৎকালীন রাঙ্গাবালী রেঞ্জ কর্মকর্তাকে লাইসেন্স এর জন্য টাকা দেই। তিনি লাইসেন্স করে না দিয়ে স-মিল চালানোর জন্য পারমিট দিয়েছে। এরপওে ২০১৪ সালে ‘ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ’ এর যাত্রা শুরু করে। এরপরে তিনি রাঙ্গাবালী রেঞ্জ থেকে বদলি হয়ে যায়। সেই থেকেই রাঙ্গাবালী রেঞ্জ থেকে বৈধকাগজপত্র চেয়ে নোটিশ দেয়। নোটিশের পরে আমরা গিয়ে দেখা করি। তারা লাইসেন্স করার জন্য তাগিদ দেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈধকাগজপত্র ছাড়া আরো অনেক স-মিল চলে। তাই আমরাও চালাই। কেউ কিছুই বলেনে। যখন সবারটা বন্ধ করা হবে। তখন আমাদেরটাও হবে। সড়ক দখলের কারণ হিসেবে তিনি জানান, যতটুকু পারি, ততটুকুই সেইভে রাখার চেষ্টা করি। গাছ রাখায় ভারী যানবাহন চলাচলে অসুবিদে হচ্ছে না বলেও তিনি জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স-মিল মালিক জানান, রেঞ্জ থেকে নোটিশ দিলে অফিসে গিয়ে দেখা করে কিছু খরচ দিয়ে আসি। এবং মাঝে মধ্যে তারা গাছ কেটে নেয়। রাঙ্গাবালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এক থেকে দেড় বছর ধরে স-মিল মালিকদের নোটিশ দেয়া হচ্ছে। অনেকেই কর্ণপাত করেনি। তাই অবৈধ স-মিল বন্ধে আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। এবং ডিসি মহোদয় এর কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host