মুহাম্মাদ আবু মুসা :
হাজারো মানুষের চলাচলের এই রাস্তাটি পাকা কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্যস্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই সড়কটির উপর দিয়ে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে অতি কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মধ্যে সব চেয়ে ব্যবসায়ী কেন্দ্রস্থল গোলাবাড়ী বন্দর। এই বন্দরে মাছের আড়ৎ থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কয়েকটি ব্যাংক, বীমা, এনজিওসহ সরকারী বেসরকারী অনেক অফিসও রয়েছে গোলাবাড়ী বন্দরে। এই সড়কটির উপর দিয়ে প্রতিদিনই পূর্ব বগুড়ার লাখো মানুষ শতশত যানবাহন নিয়ে চলাচল করে। নানা ধরনের যানবাহন ও পায়ে হেঁটে যাতায়াত করে থাকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, অফিসগামীসহ হাজারো মানুষ। কিন্তু সড়কটির পাকা কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্যস্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দেখে মনে হবে এটি কোন সড়ক নয়, মাছ চাষ করা ডোবা। এ কারনে প্রতিদিন ছোট খাট দুর্ঘটনা লেগেই আছে। আবার সড়কে সৃষ্টি হওয়া গর্তে ময়লা পানি জমে থাকায় যাবাহনের চাকায় পানি ছিটকে মানুষের শরীরে লেগে কাপড় চোপড় নষ্ট হওয়ায় ঝগড়া বিবাদও সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া আরো নানা সমস্যা হওয়ার কারনে জনসাধারণের পোয়াতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। তাই দ্রুত সড়কটি নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী মহল ও এলাকাবাসি। এ বিষয়ে ওই এলাকার আব্দুল মজিদ মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ব্যস্থতম সড়কটির পাকা কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্যস্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় মানুষ অতি কষ্টে চলাচল করছে। তিনি (মজিদ) দ্রুত কাজটি করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ওই সড়কের অনেকস্থানে পাকা কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা রয়েছে। ফলে গোলাবাড়ী বন্দর বা হাটের এরিয়ায় ইট বিছিয়ে কিছু কাজ করা হবে। পরবর্তীতে ওই স্থানে মজবুদ করে আরসিসি ঢালা কাজ করতে বরাদ্দের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হবে।