মুচলেকা নিয়ে প্রশাসন চলে যাওয়ার পর সম্পন্ন হলো বাল্যবিয়ে !

প্রকাশের তারিখ: অক্টোবর ২২, ২০২১ | ১১:৫৬ অপরাহ্ণ

সোহেল, বিশেষ প্রতিনিধি ঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের কাছে বর ও কনে মুচলেকা দিয়েও প্রশাসন বন্ধ করতে পারেনি অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে। এতে স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের পারভেজ ইলিয়াসের মেয়ে ও স্থানীয় বড়মাছুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ইসরাত জাহান মিম (১৩) এর সাথে পশ্চিম রাজপাড়া গ্রামের আবদুল খালেক হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন লিমনের (৩০) বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। দুপুরে বরের ভগ্নীপতি সেনা সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মেহমান গাড়ী বহর নিয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়।
স্থানীয়রা বাল্য বিয়ের বিষয়টি পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে মৌখিক ভাবে অবহিত করে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বশির আহমেদ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তারের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মিরা কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশের সহযোগীতায় কনে বাড়ির বিয়ের গেট ভেঙ্গে দেয়া হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেনের উপস্থিতিতে কনের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত দাম্পত্ত সম্পর্ক স্থাপন করবো না মর্মে বর দেলোয়ার হোসেন লিমন মুচলেকা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের লোকজন কনের বাড়ি থেকে চলে আসার পর ঘটনার দিনই সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের সম্মতিতে বর কনেকে নিয়ে তার বাড়িতে চলে যায়।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বশির আহম্মেদ বলেন, মুচলেকা দেয়ার পরও বর ওই কিশোরীকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host