জাহিদ হাসান: নির্মাণাধীণ চার তলা ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে বোমা রেখে বাড়ির মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল, সেটি বোমা নয়। বোমা সাদৃশ্য বস্তু ছিল। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা থেকে র্যাব ও পুলিশের দুটি বোমা বিশেষজ্ঞ টিম মাদারীপুর শহরের পৌরসভা সংলগ্ন বটতলা এলাকায় ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানায় বোমা সাদৃশ্য বস্তু।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শহরের পৌরসভার সামনে অবসর প্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা মস্তফা কামাল চারতলা বাড়ি নির্মাণ করছেন। ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে বোমা রেখে তার মোবাইল ফোনে ফোন করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, মাদারীপুর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মাদ সাদেকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। আতঙ্কে ছিল এলাকাবাসী।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, পুলিশের এবং র্যাবের দুটি বোমা বিশেষজ্ঞ টিম বিকেলে ঘটনাস্থলে আসে। সাদৃশ্য বস্তুটি বোমা কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে বোমা তৈরীর ব্যাটারী ও সার্কিট ছিল। কোন বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল না।
পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে কে বা কারা বোমা সদৃশ বস্তু রেখে বাড়ির মালিকের কাছে টাকা দাবি করে। বিষয়টি বাড়ির মালিক আমাদের জানালে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। কে বা কারা বস্তুটি রেখেছে এবং টাকা দাবি করেছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। আপাতত সবাই নিরাপদে আছে। আর বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধার করে রাখা আছে।