মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তৃণমূল আ. লীগের নেতা কর্মীদের আবেদন, ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে অসন্তোষ

প্রকাশের তারিখ: নভেম্বর ৯, ২০২১ | ৬:৫৮ অপরাহ্ণ

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। একই ব্যক্তিকে বারবার দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার কারণে এ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি যারা বিগত দিনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তাদের অনেকেই লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ ও অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। জনসেবার পরিবর্তে তারা জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ফলে তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। অথচ তাদেরই আবার আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে মাঠপর্যায়ে আওয়ামী রাজনীতিতে পেরেক ডুকে কফিনবন্দি করা হয়েছে নৌকাসহ আ. লীগের রাজনীতি । ফলে ভবিষ্যতে তৃণমূল থেকে আর কেউ রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে আগ্রহী হবেন না এমন মন্তব্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের । কারণ বিতর্কিত ব্যক্তিরাই ওপর মহলকে খুশি করে বারবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন আর মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেবেন, তা কি তারা বারবার মেনে নেবেন? এমন উলটো প্রশ্ন ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের। তাদের দাবি, মাঠপর্যায়ে যারা নিজেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন, তাদের প্রত্যাশা থাকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু সে প্রত্যাশা বারবার হোঁচট খাচ্ছে বিতর্কিত একই ব্যক্তির কাউকে দুইবার, তিনবার বা একাধিকবার আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দিয়ে তাদের আরও দুর্নীতি করার দ্বার প্রশস্ত প্রশস্ত করার জন্য। কলাগাছিয়া ইউনিয়নের তিলা পড়া আ. লীগের কর্মী মোঃ বারেক, হানিফ, রুবেল, সিদ্দিক, হারুন, কবিরসহ হাজারো কর্মী জানান, আ. লীগের এত উন্নয়ন জনগন নৌকায় ভোট দিতে চায় না শুধু মাত্র ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতিক দেওয়ার কারনে। এই ভাবে যদি দিন দিন তৃণমূল পর্যায় প্রতিক দেওয়া হয় সামনে সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে তৃণমূল থেকে চিরদিনের মত হারিয়ে যাবে নৌকা প্রতিক। বিষয়টি এখনই গুরুত্বের সহিত দেখা উচিত বলে মনে করেছেন তৃণমূল আ. লীগের নেতা কর্মীরা। তাদের একটা দাবী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন বানিজ্য হয় পকেট ভারি হয় নেতাদের সাধারণ কর্মী এক কাপ চা-পান খেতে পারেন না। চা-পান খাবার টাকা নিয়ে যান নেতারা। গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন মনে করা হয় ঈদ উৎসবের মত কিন্তু সেই ঈদ উৎসব ম্লান করে দিয়েছেন নেতারা। ফ্যাক্ট তৃর্ণমূলে নৌকা প্রতিক বনাম বড় নেতা।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host