অহংকার থেকে দূরে থাকতে হবে

প্রকাশের তারিখ: নভেম্বর ১০, ২০২১ | ৬:৪০ অপরাহ্ণ

অহংকারবোধে ভোগা কোনো মানুষের জন্য শোভনীয় নয়। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আল্লাহতায়ালা বলেন, অহংকার আমার চাদর আর আত্মম্ভরী তা আমার লুঙ্গি। এ দুটির কোনো একটি কেউ গ্রহণ করলে আমি তাকে জাহান্নামে দেব। (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১১০)। হজরত আমর ইবনে শুয়াইব (রা.) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : কেয়ামতের দিন অহংকারীদের পিপীলিকার ন্যায় জড়ো করা হবে। অবশ্য আকৃতি-অবয়ব হবে মানুষের। অপমান তাদের চারদিক থেকে বেষ্টন করে রাখবে। বাওলাস নামক জাহান্নামের কারাগারের দিকে তাদের হাঁকিয়ে নেওয়া হবে। আগুনের অগ্নিশিখা তাদের ওপর ছেয়ে যাবে। আর তাদের পান করানো হবে জাহান্নামিদের দেহ নিংড়ানো ত্বিনাতুল খাবাল নামক কদর্য পুঁজ-রক্ত। (তিরমিজি, মিশকাত হা/৫১১২)। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তিনটি জিনিস মুক্তিদানকারী এবং তিনটি জিনিস ধ্বংসসাধনকারী। মুক্তিদানকারী জিনিসগুলো হলো- প্রকাশ্যে ও গোপনে আল্লাহকে ভয় করা। খুশি-অখুশি উভয় অবস্থায় সত্য কথা বলা, ধনী ও দরিদ্র উভয় অবস্থায় মধ্যপন্থা অবলম্বন করা। আর ধ্বংস সাধনকারী জিনিসগুলো হলো- প্রবৃত্তির অনুসারী হওয়া, লোভ-লালসার দাস বা কৃপণ হওয়া এবং কোনো ব্যক্তির আত্ম অহমিকায় লিপ্ত হওয়া এবং তা হলো সর্বাপেক্ষা জঘন্য। (শুআবুল ইমান, মিশকাত হা/৫১২২, সনদ হাসান)। হজরত আবদুল্লাহ মাসউদ (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ ইমান আছে, সে জাহান্নামে যাবে না। আর যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে যাবে না। (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৮)। এ হাদিস দ্বারা প্রতীয়মাণ হয় যে, অহংকারী ব্যক্তি জান্নাতে যেতে পারবে না।
যারা অহংকার করে তাদের জন্য ভাল কিছু অপেক্ষা করে না। কেননা অহংকার পতনের মূল। তাই এটা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেকটি মানুষের কর্তব্য।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host