মঠবাড়িয়ায় শশুর ও দেবরের ধারালো অস্ত্রের কোপে গৃহবধূ জখম

প্রকাশের তারিখ: ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ | ৮:৫০ অপরাহ্ণ

সোহেল, বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে জেসমিন বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে ঘরে আটকিয়ে দুই দফা এলোপাথারী পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে শ্বশুর ও দেবর। খবর পেয়ে গুরুতর ওই গৃহবধূকে তার বাপের বাড়ির লোকজন প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরত্বে পার্শবর্তী উপজেলা থেকে উদ্ধার করে রোববার রাতে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। জেসমিন উপজেলা উত্তর দাউদখালী (খাসহাওলা) গ্রামের মৃত. হালিম মোল্লার মেয়ে।

গুরতর আহত জেসমিন বেগম জানান, প্রায় ১০ বছর আগে পার্শবর্তী বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামের সোনা মিয়া ফরাজির ছেলে মেহেদী হাসান দুলাল ফরাজির সাথে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে মাদিনাতুল মানজান নামে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। শিশুটির বয়স বর্তমানে ৭ বছর। তার স্বামী ঢাকায় প্রাইভেট কার চালান।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে মেয়ে মারজানকে শরীরে কাদা-মাটি লাগাতে নিষেধ করে ঘরে ডাক দেই। এসময় শিশুটি খারাপ ভাষা উচ্চরণ করলে মেয়েকে শাষন করার জন্য খাটের ওপর লাঠি দিয়ে আঘাত করে বলি মা‘কে খারপ কথা বলে না। শিশুটি সাথে সাথে দাদী বলে চিৎকার করলে তার শ্বশুর সোনা মিয়া ফরাজি (৫৫) ছুটে এসে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ শুরু করে। এসময় তিনি বলেন মেয়েকে এখন শাষন না করলে বড় হয়ে তো সকলকেই অসম্মানসহ গালমন্দ করবে। এ কথার কাটাকাটির একপর্যায় শ্বশুর তাকে এলাপাথারী পিটিয়ে ঘরে আটকে রাখে। বিকেলে তার দেবর বখাটে কিশোর ইমাম ফরাজি (২০) বাড়িতে এসে ঘটনা জানতে পেরে কোন কথা না বলেই উপর্যপুরী তাকে (জেসমিন) মারধর করে। এসময় আবারও শ্বশুর সোনা মিয়া মারধর করাসহ তাকে মাথার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। ওই কোপ ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতে লেগে গুরুতর জখম হয়।

তিনি আরও বলেন, তাকে এমন ভাবে মেরেছে যে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানগুলো কোন নারী ছাড়া কাউকে দেখানো সম্ভব না। বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমার বাবার বাড়ির লোক এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host