![](https://barisalbani.com/wp-content/uploads/2022/04/বহিস্কার-Susp-300x159.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি কাজে বাধা এবং পরীক্ষার দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় একজন অফিস সহকারীকে মারধরের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিস্কার করেছে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
এই তিন শিক্ষার্থী হলেন ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. তানভীর আহম্মেদ সজিব, সৈয়দ শাহারুল ইসলাম শান্ত ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রফিকুল ইসলাম (৪র্থ পর্ব)।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন মারধরের স্বীকার ভুক্তভোগী কর্মচারী শহিদুল ইসলাম। এছাড়াও শিক্ষার্থী সৈয়দ শাহারুল ইসলাম শান্তর সিট বাতিল করেছে বরিশাল পলিটেকনিকের ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ। ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও এই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৩০ মার্চ বুধবার দুপুরে ২য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ ও ৮ম পর্ব সমাপনী পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষে উত্তরপত্র, লিথো ও গোপনীয় কাজে দায়িত্ব পালনরত কর্মচারী কেয়ারটেকার ও উচ্চমান সহকারি (অতিরিক্ত দায়িত্ব রেজিস্ট্রার শাখা) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কক্ষ হতে টেনে হিছড়ে বের করে বেধম মারধর করেন ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজির ৩ শিক্ষার্থীরসহ ৬/৭ জন শিক্ষার্থী।
এই ঘটনায় একাডেমিক পরিষদের সভায় ওই ৩ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিস্কারের সুপারিশ করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৭ এর সমন্বিত শৃংখলা বিধি-২০১২ এর শৃংখলা বিধি ১.৮ ও ১.১৪ মোতাবেক উল্লিখিত ছাত্রদের এই পর্বের পরীক্ষা বাতিল এবং ন্যূনপক্ষে পরবর্তী তিন শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবদুর রহমান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অধ্যক্ষ রুহুল আমিন বলেন, প্রত্যয়নপত্রকে কেন্দ্র করে অফিস সহকারী শহিদুলকে মারধর করেছে কয়েকজন বখাটে ছাত্র। তিনি আরো বলেন, তাদের শনাক্ত করে মামলা দায়েরের পাশাপাশি রেজুলেশন অনুযায়ী তিনজনকে বহি:স্কারের সুপারিশ বোর্ডে পাঠিয়েছি।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত লোকমান হোসেন বলেন, পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে, তবে এখনো কোনো আসামিকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান গণমাধ্যমকে জানান, পরীক্ষায় দায়িত্বপালনরত একজন স্টাফের উপর হামলার ঘটনায় বরিশাল পলিটেকনিকের রেজুলেশন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এঘটনায় জড়িত কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।