বাবকে ছাড়া ষোলটি বছর রোজা ও ঈদ!

প্রকাশের তারিখ: মে ৩, ২০২২ | ১২:১২ পূর্বাহ্ণ

ছবি- অলিউল্লাহ খান ২০২১ সালের ঈদের দিনে তোলা

২০০৬ সাল থেকে ২০২২ একুশটি বছর বাবাকে ছাড়া একা একা ঈদ পালন করা। কত কেঁদেছি এখনো কাদছি, কিন্তু আর আপনার সাথে ইফতার করা,ফজরের নামাজের পরে আত্মীয়-স্বজনদের কবর জিয়ারত করা, ঈদের নামাজ আদায় করা, ফিরনি সেমাই খাওয়া দুজনে কথা বলতে বলতে ঈদের মাঠে যাওয়া আমার আর সারা জীবনেও আসবে না।

আমার বাবার নাম মৃত মাওলানা শাহজাহান খান জন্মস্থান বাকেরগঞ্জের গারুড়িয়া ইউনিয়ের সাহেবপুর গ্রামে, তিনি চরামদ্দি ইউনিয়ের বাদলপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন। সততা ও নিষ্ঠার সাথে বাদলপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে পাকস্থালী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাহেবপুর নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।

বাস্তবতার আঘাতে, সব সময় আব্বুকে মনে করা হয় না ঠিকই। আব্বু মারা গেছে ১৬ বছর?—এই প্রশ্নের জবাব হয়তো একটু ভেবে, হিসাব করেই দিতে হয়,কিন্তু আব্বু নেই। এ কঠিন সত্যিটার মুখোমুখি প্রতিদিন হতে হয়। হতে হবে যতদিন বেঁচে থাকব। ইফতার করতে বসলেই মনে পড়ে সেই আব্বুর তুলতুলে কোমল হাত দিয়ে মুড়ি মাখানো, ইফতারের আগে আব্বু বাসার সবাইকে ডেকে ইফতারি সামনে নিয়ে বসা এবং দোয়া করা। বরিশালেএবং বাকেরগঞ্জে ঈদের কেনাকাটা করতে যাওয়া! আব্বু, আপনার এ ভালোবাসার মুল্য দিব কি দিয়ে? এই হতভাগারতো কোন যোগ্যতাই নেই।

ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা আর ছায়া হয়ে পাশে থাকুক তাদের সন্তানদের। আমার মতো ১৬ বছর বয়সে আর যেন কেউ বাবাকে না হারায়, চোখের সামনে মায়ের স্বামী হারা আর্তনাদের কান্নাটা যেন না দেখতে হয়।

লেখক-অলিউল্লাহ খান
যুগ্ম বার্তা সম্পাদক- আপটেড নিউজ বিডি ২৪ ডটকম
সিনিয়ার রিপোর্টার – বরিশাল বাণী নিউজ পোর্টাল

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host