কলাপাড়ায় অধিকাংশ ভোটাররা চেনেন না তৃনমূলের ভোটে বিজয়ী আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোদাচ্ছের কে !

প্রকাশের তারিখ: মে ১০, ২০২২ | ৯:২৪ অপরাহ্ণ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ১০ মার্চ।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের তৃনমূলের ভোটে বিজয়ী মোদাচ্ছের হাওলাদারকে চেনেনা তৃনমূলের অধিকাংশ ভোটাররা। এক প্রভাবশালী নেতার হস্তক্ষেপে গত ৫ মে ধুলাসার ইউনিয়ন কমিটির কাউন্সিলের ভোটে সে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হলেও ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে একাট্রা হয়েছে আওয়ামীলীগের ত্যাগী অনেক নেতা। তারা স্বতন্ত্র নির্বাচনেরও ঘোষণা দিয়েছেন। এতে কলাপাড়ার ধানখালী, লালুয়া, মহিপুর, চাকামইয়া, টিয়াখালী ও কুয়াকাটা পৌরসভার মতো নৌকার প্রার্থীর পরাজয়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কাগজে কলমে ২০১০ সালে আওয়ামীলীগে যোগ দিলেও ২০১৯ সালে ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সাত নং ওয়ার্ড থেকে সাদারণ সম্পাদক পদে সে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তার কোন সমর্থক না থাকায় সে সেক্রেটারি নির্বাচিত হতে পারেন নি। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার একক হস্তক্ষেপে সে ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটি পেয়ে যায়। যদিও তার পরিবারে চাচাতো ভাই ও ভগ্নিপতি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত।
ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া খলিফা জানান, প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকা দেবেন তার পক্ষে দল কাজ করবে। তবে মোদাচ্ছেরের এক ভগ্নিপতি ও এক চাচাতো ভাই বিএনপির রাজনীতি করে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ইউনুস দালাল বলেন, তাকে ২০১৯ সালে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সাত নং ওয়ার্ড থেকে সাধারণ সম্পাদক পদ দিতে পারেন নি জনসমর্থণ না থাকায়। তবে সে ঠিকই পেয়ে গেছেন ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ, তাও বিনা কাউন্সিলে।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে শুধু নেতাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চললেও ভাবনা নেই সাধারণ ভোটারদের। ইউনিয়নের গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি, চর ধুলাসার, বেতকাটা চর, তারিকাটা, বৌলতলীর এলাকার হতদরিদ্র মানুষ চেনেন না মোদাচ্ছের হাওলাদারসহ বর্তমান কমিটির অনেক সদস্যকে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ কিংবা ঝড় জলোচ্ছানে এখানকার মানুষ দেখেন না রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিদের। তাই তারা এমন প্রার্থী চান যারা সব সময়ে এলাকায় থেকে মানুষের পক্ষে কাজ করে।
তবে তৃনমূলের ভোটে বিজয়ী মোদাচ্ছের হাওলাদার বলেন, ২০১০ সাল থেকে সে আওয়ামীলীগ করেন। দলীয় সকল কর্মকান্ডে তিঁনি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেন। তাইতো তৃনমূল নেতাদের ভোটে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় গ্রামাঞ্চলের মানুষের সাথে তার যোগাযোগ কিছুটা কম থাকলেও তাদের সকল প্রয়োজনে নির্বাচিত হলে পাশে থাকবেন। আর দল যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে কাজ করবেন।
তবে এ ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন চাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জলিল আকন, মহিপুর থানা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ তালুকদার। যারা মাঠ পর্যায়ে দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজজ করছেন। এছাড়া স্বতন্ত্রভাবে একাধিক দলীয় প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হলে ধুলাসার ইউনিয়নেও কলাপাড়ার অন্য পাঁচটি ইউনিয়নের মতো নৌকার প্রার্থী পরাজিত হতে পারে বলে আশংকা করছেন দলের ত্যাগী নেতা ও সাধারণ ভোটাররা। তবে যে প্রক্রিয়ায় প্রার্থী নির্বাচনের কাউন্সিল হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। সাধারণ ভোটার ও দলের ত্যাগী নেতাদেও দাবি হাইব্রিড নেতাদের মনোনয়ন না দিয়ে নেত্রী দলের ত্যাগী নেতাদের নৌকার প্রার্থী করলে ধুলাসারে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হবে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, তৃনমূলেল ভোটে মোদাচ্ছের হাওলাদার সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে। দলের সবাই যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাহলে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হবেন বলে আশা করছেন।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host