বরিশাল বাণী: বরিশালে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪/৭ (সার্বক্ষনিক) স্বাভাবিক প্রসব সেবা নিশ্চিতকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (০৩ মার্চ) সকালে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিটের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগ বরিশালের উপ পরিচালক মোঃ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ সার্ভিসেস) ডাঃ মোঃ মাহমুদুর রহমান, জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসান, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, ডাঃ সুমী আক্তার, বরিশাল সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) রেহানা বেগম, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি ও জেলা ওয়ার্কিং কমিটির আহবায়ক আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
এরআগে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন
পরিবার পরিকল্পনা বরিশাল জেলার উপ-পরিচালক ডাঃ শহিদুল ইসলাম।
এরপরপরই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪/৭ স্বাভাবিক প্রসব সেবা নিশ্চিতকরণ বিষয়ক তথ্যাদি তুলে ধরেন পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিটের (সাপোর্টস সার্ভিস এন্ড কো অর্ডিনেশন) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ তৃপ্তি বালা।
উপজেলা মা-শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে জনপ্রতিনিধি কর্তৃক সহযোগীতা প্রদান বিষয়ক উপস্থাপনা তুলে ধরেন পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এপি) ডাঃ মোঃ হারুন অর রশীদ।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ সার্ভিসেস) এবং লাইন ডাইরেক্টর (এমসিআরএএইচ) ডাঃ মোঃ মাহমুদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, যে কয়টি দেশে মাতৃমৃত্যুর হার বেশি তারমধ্যে বাংলাদেশ একটি। তবে বিগত সময়ের থেকে এ হার কমছে। আমরা চাচ্ছি ২০৩০ সালের মধ্যে এ হার প্রতিলাখে ৭০ এর নিচে নিয়ে আসতে। যে সকল কারনে মায়েদের মৃত্যু হচ্ছে, তারমধ্যে রক্তক্ষরন, একলাম্পশিয়া, অনিরাডদ গর্ভপাত, বাধাগ্রস্থ প্রসব, পরোক্ষ কারণ এবং প্রসব পরবর্তী সংক্রমন অন্যতম কারণ।
তিনি বলেন, মাত্র তিনটি কাজ করলে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু কমানো সম্ভব। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে, অল্প বয়সে গর্ভবর্তী অর্থাৎ ২০ বছর বয়সের আগে সন্তান না নেয়া এবং ঘণ ঘন সন্তান নেয়াও যাবে না। এতে করে মাতৃ মৃত্যু যেমন কমবে তেমনি শিশু মৃত্যুর হারও কমবে। তবে এর পাশাপাশি বাড়িতে বসে বাচ্চা প্রসব করা যাবে না, কারন কিছু সমস্যা রয়েছে, যেগুলো বাড়িতে বসে দেখা দিলে তাৎক্ষনিক সমাধান সম্ভব নয়।
এসময় তিনি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের প্রতি চেয়ারম্যানবৃন্দের নজরদারি বাড়ানোর আহবান জানান।সেইসাথে স্বাস্থ্যকর্মীদের আরো জোড়ালোভাবে তাদের দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান তার বক্তব্যে, জনবল সংকটসহ নানান ধরনের সমস্যা সমাধানে সরকার কাজ করছে বলে জানান। সেইসাথে সপ্তাহে সাতদিন অর্থাৎ সার্বক্ষনিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা নিশ্চিত করনের লক্ষে সবাইকে সহযোগীতা করার আহবান জানান।