নিজস্ব প্রতিবেদক
দশমিনা থানা ধীন দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের যৌতুকের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মেয়ের মা ও বাবাকে পিটিয়ে জখম করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। গত ১৫ জুন বুধবার সকাল ৯ টায় বাড়ির পাশে বসে হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন দশমিনা থানা ধীন দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুজ্জামান (৫৫) ও তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩৮)। পরে স্থানীয়রা আহতদের মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে দশমিনা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে আহত তাসলিমার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহত সূত্রে জানা যায় ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে স্থানীয় দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুজ্জামানের মেয়ে নাসরিনের সাথে একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফারুক হাওলাদারের ছেলে রাকিব হাওলাদারের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নাসরিনের বাবা নুরুজ্জামান স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল দিয়ে দেয় জামাই রাকিব কে। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় রাকিব ও তার বাবা ফারুক হাওলাদার যৌতুকের জন্য নাসরিনের উপর চাপ চাপ প্রয়োগ করে। এরপর নাসরিনকে মারধর করে ভরণপোষণ বন্ধ করে দিলে নাসরিন ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি নেয়।সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ তার ছেলেকে নিয়ে চাকরি করে আসছে। বেসরকারি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করার বিদায় ছেলেকে নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয় নাসরিনে কে।আর অসুবিধা হওয়ার কারণে নাসরিনের মা তাসলিমা বেগম এর কাছে পুত্র সন্তান রেখে যায়।এদিকে প্রতিপক্ষরা তাদের নাতিকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পরিকল্পিত ভাবে রাস্তায় ওত পেতে থাকে।বুধবার দিন শশুর ফারুক হাওলাদার, চাচাশ্বশুর হারুন হাওলাদার, শাশুড়ি চম্পা বেগম, চাচি শাশুড়ি সালমা বেগম পূর্বপরিকল্পিতভাবে নাসরিনের মা তাসলিমা বেগম এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা লাঠি রড দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে।এ সময় তাসলিমার ডাকচিৎকারে তার স্বামী নুরুজ্জামান ছারাতে গেলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ও নাসরিনের ছেলেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় যৌতুকের টাকা পরিশোধ না করলে নাসরিনকে তালাক দেওয়া হবে বলে জানায় প্রতিপক্ষরা। শুধু একবার নয় এভাবে যৌতুকের জন্য বেশ কয়েকবার হামলা চালায় মেয়ের শ্বশুর ফারুক হাওলাদার, জামাইরা রাকিব হাওলাদার, চাচাশ্বশুর ফারুক হাওলাদার। বর্তমানে আহত তাসলিমা বেগম শেবাচিমের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।