আমতলীতে চেতনানাশক ঔষধ দিয়ে স্বর্ণালংকারসহ ২ লক্ষাধীক টাকা লুট

প্রকাশের তারিখ: জুন ৩০, ২০২২ | ৯:০৮ অপরাহ্ণ

হারুন অর রশিদ
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বরগুনার আমতলী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা ব্যাবসায়ী বায়েজিদ আহম্মেদ এর ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে চেতনানাশক ঔষধ দিয়ে ১ ভড়ি স্বর্ণালংকার, ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, দলিল পাসপোর্ট ও গুরুত্বপূর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়।
সূত্রে জানা যায়, বরিশাল মেট্রো উপ-পুলিশ কমিশনারের ছোট ভাই মোঃ বায়েজিত স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাজার রোডে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টায় তার এক আত্মীয় দরজা খোলা দেখে ঘরে ঢুকে দেখে দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত বায়েজিতের মেয়ে পড়ে রয়েছে। তাকে চেতনানাশক ঔষধ দিয়ে অজ্ঞান করে মুখ বেঁধে তার গলায় থাকা ১ ভড়ি স্বর্ণালংকার, ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, দলিল পাসপোর্ট ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বায়েজিতের স্ত্রী বাসায় ছিল না। বায়েজিদ এর স্ত্রী খবর পেয়ে বাসায় এসে দেখে তার মেয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। তার স্বামী বায়েজিদকে খরব দিলে আমতলী হাসপাতালে নেয়ার পর মেয়ের অবস্থা আশংঙ্খাজনক অবস্থায় বরিশাল সেবাচিম হাসপতালে নিয়ে যান।
বায়েজিদ আহম্মেদ মুঠোফোনে জানান, আমি মহিপুর থানায় একটি শালিশীতে ছিলাম, আমার স্ত্রী বেলা সাড়ে ১১টায় ব্যাংকে কাজে গিয়েছিল প্রতিপক্ষরা সুযোগ বুঝে এ সময় ঘটনা ঘটায়। আমার স্ত্রী এসে আমাকে খবর দেয় ও মেয়েকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংঙ্খাজনক দেখে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আমি মেয়েকে নিয়ে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছি। এখনো মেয়ের জ্ঞান ফিরেনি। আমার প্রতিপক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারনা। আমার মেয়ে সুস্থ্য হলে আমি এ ব্যাপারে মামলা করবো।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বায়েজিদ, তার স্ত্রী ও অসুস্থ্য মেয়েকে নিয়ে বরিশালে চিকিৎসায় রয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host