যে কোন সময় সাগরগর্ভে হারিয়ে যেতে পারে কুয়াকাটার মসজিদ ও মন্দির

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ৪, ২০২২ | ৩:৩১ অপরাহ্ণ

হোসাইন আমির,কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ- কুয়াকাটা সৈকত থাকা দুইটি ধর্মীও প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে যে কোন সময় সাগর গর্ভে চলে যেতে পারে। সামনে জোঁতে সাগর সৈকত জামে মসজিদ ও শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির যা একই স্থানে স্বাক্ষী হয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে দাড়িয়ে আছে যা আগামী জোঁতে সাগর গর্ভে বিলিন হওয়ারা সম্ভাবনা রয়েছে। দ্রæত কতৃপক্ষ এ বিষয় পদক্ষেপ না নিলে কুয়াকাটার সাম্প্রদায়ীক সম্প্রতি যে আলো তা নিবে যাবে এমটাই জানান দিচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট গিয়ে সৈকতে নামার সময় পূর্বদিকে একই রাস্তায় প্রথমে মুসলমানদের দোতালা একটি জমে মসজিদ মাদ্রাসা পরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশাল বাউন্ডারীর মধ্যে ৩ টি ভবনে ৪টি মন্দির রয়েছে। যেখানে গত বছর শেষ দিকে পাউবো নামে মাত্র জিও ব্যাগ ও টিউব দিয়ে কোন রকম রক্ষা করার জন্য কাজ করেছিল তা এই বছর সাগর মাঝে চলে গেছে।এই ধর্মীও প্রতিষ্ঠান দুইটিতে আগত ভ্রমন পিপাসুরা কুয়াকাটার একদম সৈকত জুড়ে থাকায় আনন্দ বিনোদনে পাশাপাশি খুব সহজে যে যার ধর্ম করতে পারত।অনেক কষ্ট করে স্থানীয়রা সৈকতের পাশে এই ধর্মী প্রতিষ্ঠান দুটি গড়ে তুলে। আল্লাহর ঘর এই মসজিদটি এই ভাবে সাগরে বিলিন হবে তা মানতে নারাজ। ওই মসজিদের সাবেক খতিব ক্কারী নজরুল ইসলাম বলেন ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওই মসজিদে আমি ইমামতি করেছি অনেক স্মৃতি বিজড়িত আছে তখন সাগর ছিলো অনেক দুরে এখন একেবারেই নিকটে এসে গেছে সাগর পারে নামলেই মসজিদ আর সাগরের ঢেউ দেখলেই কান্না আসে কখন জানি বিলিন হয়ে যায়। তাই এই মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমি দাবি করব দ্রæত বড়কোন প্রকল্প দিয়ে এই মসজিদসহ এলাকাকে রক্ষা করুন। ওই মসজিদ ঘেষা সাগর পারে শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মন্ডল বলেন সামনের জোঁতে মন্দিরের বাউন্ডারী দেয়াল পরে যাবে তাই প্রতিবারই এই সময় পাউবোর সহয়তা সামন্য অস্থায়ী ভাবে জিওটিউব দিয়ে রক্ষা করার চেষ্ঠা চলছে। তা নিয়ে খুব আতংকে থাকি কখন বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটে যায়। এব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) আরিফ হোসেন দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, মন্দিরও ও মসজিদ রক্ষ করার জন্য মাঝ খানে এ্যাভাব বিল ডাকা হয়েছিল সেখানে ঠিকাদার গন অনিহা প্রকাশ করে তাই এখন জরুরী ভিত্তিতে কাজ করার চেষ্টা চলছে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host