ঐতিহ্যবাহী আমতলীর গরুর হাট বিক্রি কম, মাঝারী, ছোট গরুর চাহিদা বেশী, দামও বেশী।

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ৬, ২০২২ | ৭:০৯ অপরাহ্ণ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীর পশুর হাট জমে উঠেছে। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ গরুর হাট আমতলী। সপ্তাহে প্রতি বুধবার হাট। ঈদ-উল আযহা আর মাত্র তিন দিন বাকী। দেশীয় পশুকে আমতলী গরুর হাট সয়লাব হয়ে গেছে। বুধবার আমতলী গরুর হাটে কোরবানী উপযোগী গরু ক্রয়-বিক্রয় কম হয়েছে। মাঝারী ও ছোট গরুর চাহিদা বেশী হলেও দাম বেশী ছিল।
আমতলী প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলায় ৭ হাজার ৮’শ ২৫টি কোরবানীর পশুর চাহিদা থাকলেও ২২১টি খামারে ৮ হাজার ২১৬ টি পশু রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল কুষ্টিয়া, ঝিনাইদাহ, যশোর, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষীপুর ও শিরাজগঞ্জ জেলা থেকে শতাধিক পাইকারী ক্রেতা এসেছে এ হাটে। এ বছর উত্তরাঞ্চলের বড় ব্যবসায়ীরা কোরবানী উপযোগী গরু ক্রয় করছেন না। বিকেল চারটা পর্যন্ত আমতলীর গরুর হাটে এক হাজার পাচ’শ গরু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে মাঝারী ও ছোট গরু বেশী বিক্রি হয়েছে বলে জানান আমতলী গরুর হাট পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
চুনাখালী গ্রামের গরু বিক্রেতা আবু ছালেহ বলেন, হাটে বড় ধরনের একটি গরু এনেছি। দাম চেয়েছিলাম ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কিন্তু ক্রেতারা দাম বলেছ মাত্র ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।
বিক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, দইু লক্ষ বিশ হাজার টাকায় তিনটি গরু বিক্রি করেছি। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে হাটে দাম কিছুটা কম।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, কোরবানী উপলক্ষে পশুর বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে মানুষ নিরাপদে পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিনসহ সাদা পোশাকে পুলিশ হাটে কাজ করছে।
আমতলী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আমিনুর ইসলাম বলেন, মোটাতাজাকরন ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পশু পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম রয়েছে। রোগাক্রান্ত পশু যাতে বিক্রি না হয় সে বিষয়ে মেডিকেল টিম হাটে কাজ করছে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host