গলাচিপা হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ৬, ২০২২ | ৮:৫১ অপরাহ্ণ

সজ্ঞিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ৫০ সজ্জা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ক্যান্পাসে পুরাতন আবাসিক ভবন জরাজীর্ণ আবস্থায় পরে রয়েছে। বসবাস অন উপযোগী আবাসিক ভবন এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যেখানে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে খাবারের উচ্ছিষ্ট ও হাসপাতালের বর্জ্যসহ নানা আবর্জনা। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে দীর্ঘদিন ফেলে রাখা আবর্জনার স্তুপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে হাসপাতালের চারপাশে। যেখানে নির্দিষ্ট স্থানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পৃথক পৃথক রঙের ডাস্টবিনে চিকিৎসা বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলার নিয়ম রয়েছে তবে এই হাসপাতালে তা মানা হচ্ছে না। এমন অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। তারা বলছেন, দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে চিকিৎসা নিতে এসে দুর্গন্ধে আরো অসুস্থবোধ করেন তারা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জুলাই থেকে ৬ জুলাই ২০২২ সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে প্রবেশে পেছনের দ্বিতীয় গেট দিয়ে ভেতরের দিকে ডাক্তার থাকার জন্য নির্ধারিত কয়েকটি পুরাতন জরাজীর্ণ কোয়ার্টার রয়েছে। যেগুলো ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পরিত্যক্ত পরে রয়েছে। তার মধ্যে একটি জরাজীর্ণ কোয়ার্টার ময়লা-আবর্জনার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। প্রতিদিনের হাসপাতালে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের এ্যাম্পুল, ব্যবহৃত গজ, ওষুধের বিভিন্ন ধরনের পরিত্যক্ত মোড়ক, পলিথিন, প্যালাস্টিক, তুলা, টিস্যুসহ উচ্ছিষ্ট খাবার ও অন্যান্য বর্জ্য ফেলে স্তুপে রুপান্তর করা হয়েছে। এই স্থানের সামনের সড়ক দিয়ে রুগী আনা নেওয়া করা হয় এম্বুলেন্সে। গাড়ি থামিয়ে রুগী উঠানো নামানো সব চলে ওই আবর্জনা রাখার কোয়ার্টার এর পাশ ঘিরেই। এদিকে হাসপাতাল ঘুরে একটি ডাস্টবিন অব্যবহৃত খালি পরে থাকতে দেখা যায়। সে ডাস্টবিনে ফেলা হয় না কোন ময়লা আবর্জনা। অন্যদিকে কোয়ার্টার থেকে দীর্ঘ দিন ধরে ময়লা আবর্জনা অপসারন না করার ফলে, স্তুপ হতে কোয়ার্টারের বারান্দায় ময়লা আবর্জনা গুলো ছড়িয়ে- ছিটিয়ে পরে আছে। দিনের বেলায় বিড়াল, কাক, কুকুরসহ বিভিন্ন প্রানীরা ময়লা ঘাটাঘাটি করে ফলে রোগ জীবাণু ও সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বললে তারা জানান, একটু বাতাস হলে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে পেটের নাড়িভুড়ি উল্টে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। তাছাড়া কুকুর, বিড়াল, কাক বিভিন্ন প্রাণী ময়লা আবর্জনায় হাঁটাচলা করে হাসপাতালের আঙ্গিনায় ঘুরে বেড়ায়। ঐ স্থানের আশেপাশে দাঁড়ানো যায় না দুর্গন্ধে নাকে মুখে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হয়। স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলার কোন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নেই। এটি পরিষ্কারে কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছাই যথেষ্ট। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ি করেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কাজী মোঃ আবদুল মমিন বলেন,’নির্দিষ্ট স্থানে ও ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তবে তিনি বর্জ্য অপসারণের জরুরি ব্যবস্থা নিবেন। তিনি আরও বলেন বিভিন্ন জায়গা হতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন একটা আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করার। এখন গলাচিপা পৌরসভার মাধ্যমে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণের কাজ করতে হচ্ছে’।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host