শেবাচিম হাসপাতালে আগুন আতঙ্ক: প্রাণ বাঁচাতে বেরিয়ে পড়েন রোগীরা

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ১৬, ২০২২ | ৮:১৯ অপরাহ্ণ

বাণী ডেস্ক।।
বরিশাল শেল-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে আগুন আতঙ্কে হুলুস্থুল কান্ড ঘটেছে। আগুনের খবরে প্রাণ বাঁচাতে শয্যা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েন অসুস্থ রোগী এবং তাদের স্বজনরা। বসেছিলেন না চিকিৎসক , নার্স এবং কর্মচারীরাও। হুরোহুরি করে হাসপাতাল ছাড়তে গিয়ে আহতও হয়েছেন কেউ কেউ।

কিন্তু পরে জানতে পারেন বড় কিছু নয়, হাসপাতালের নিচ তলায় একটি বৈদ্যুতিক বক্সে শর্টসার্কিট হয়ে কিছুটা আগুন লেগেছিল। যা মুহুর্তেই নিভিয়ে ফেলেন হাসপাতালের স্টাফরা। এটি নিশ্চিত হয়ে ফের ওয়ার্ডে ফিরে যান রোগী এবং তাদের স্বজনরা।
আর ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও কাজ না করেই ফিরে যেতে হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের নিচতলায় এফ ব্লকে।

হাসপাতালের পূর্ব প্রান্তের দ্বিতীয় তলায় স্ক্যানু (নবজাতক) বিভাগের দায়িত্বরত নার্স শিবানী হালদার বলেন, ‘হঠাৎ করেই আমরা আগুন আগুন চিৎকার শুনতে পাই। ওয়ার্ডের বাইরে বের হয়ে জানতে পারি হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আগুন লেগেছে।
হাসপাতালের ওপরতলা থেকে প্রসুতিসহ অন্যান রোগী এবং স্বজনরা জীবন বাঁচাতে হাতে স্যালাইন ঝুলানো অবস্থায় যেযার মতো দৌঁড়ে নিচে নেমে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি দেখে আমরাও চিকিৎসাধিন নবজাতকদের দ্রুত ওয়ার্ড থেকে নিচে নেমে হাসপাতালের সামনে মাঠে অবস্থান নেই। বের হয়ে জানতে পারি আগুন লেগেছে নিচতলায়।

হাসপাতালের পশ্চিম প্রান্তে চতুর্থ তলায় অবস্থিত মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রুবাইয়া ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। শনিবার দুপুরের পর সবাই আগুন আগুন বলে চিৎকার শুরু করলে আমার স্বামী আমাকে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে শুনে ওয়ার্ডে ফিরে আসি।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মশিউল আলম ফেরদাউস বলেন, ‘হাসপাতালের নিচতলায় এফ বøকের একটি এসির জেনারেটর ফায়ার করে হালকা আগুন ধরে যায়। এতে কিছুটা ধোয়ার সৃষ্টি হয়। এই আতঙ্কে রোগীরা হাসপাতাল ভবন থেকে বাইরে বেরিয়ে পড়ে মাঠে অবস্থান নেয়।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। কিন্তু যে আগুন লেগেছে তা হাসপাতালের স্টাফরাই গাস স্প্রে করে আগুন এবং ধোয়া নিয়ন্ত্রণে আনেন। এজন্য বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।

হাসপাতাল পরিচালক ডা. এইচ.এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় অনেক পুরানো বৈদ্যুতিক তাড় রয়েছে। এ কারণে প্রায় সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে; রোগীরা আতঙ্কিত হচ্ছে।

শনিবার বিকালেও একই ঘটনা ঘটেছে। এসির জেনারেটর ফায়ার করে হালকা আগুন এবং ধোয়ার সৃষ্টি হয়। এতে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তারা জীবন বাঁচাতে রাস্তায় নেমে আসে। তবে আধাঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি পুনরায় স্বাভাবিক হয়।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host