গলাচিপায় পাওনা টাকা চাওয়ায় মারধর, হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ২৪, ২০২২ | ৭:৫০ অপরাহ্ণ

তারিখঃ ২৪ জুলাই ২০২২

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছালাম আকন (৩২) নামে এক যুবককে মরধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের চর হরিদেবপুর গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। বর্তমানে তিনি গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকাল ৩ টার দিকে কিসমত হরিদেবপুর রাস্তার উপর এ ঘটনাটি ঘটে। আহত ছালাম আকন হচ্ছেন ওই গ্রামের মেনাজ আকনের ছেলে। এ বিষয়ে আহত ছালাম আকন জানান, আমাদের একই গ্রামের কালা মিয়ার স্ত্রী হোসনেয়ারার মেয়েকে বিবাহ দিবে বলে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নেয়। আমার সেই পাওনা ৩০ হাজার টাকা হোসনেয়ারার কাছে চাইতে গেলে হোসনেয়ারা ও তার স্বামী কালা মিয়া আমাকে ধমক দিয়ে চলে যেতে বলেন। টাকা দিতে পারবে না বলে জানায়। আমি তাকে আমার টাকা ফেরত দেওয়ার সময় হইছে বললে হোসনেয়ারা ও তার স্বামী কালা মিয়া সহ ৪/৫ জন লোক আমার উপর চড়াও হয়ে এলোপাথারীভাবে মারধর করতে থাকে। এ সময় আমার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পড়লে মারধরকারীরা চলে যায়। পরে গ্রামবাসী আমাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে আহত ছালাম আকনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, হোসনেয়ারা তার মেয়েকে বিবাহের জন্য আমাদের কাছে টাকা চায়। আমরা তার মেয়ের জন্য ৩০ হাজার টাকা দেই। সময়মত টাকা ফেরত না দিলে আমার স্বামী হোসনেয়ারার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে সে তার স্বামীকে খেপিয়ে দেয় এবং লোকজনসহ আমার স্বামীকে মারধর করে। অসহায় মেয়ের বিবাহের জন্য টাকা দিয়ে উপকারও করলাম আবার উল্টো আমার স্বামীকে মারধরও করল। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে হোসনেয়ারা ও তার স্বামী কালা মিয়ার জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদেরকেও ওরা মারধর করেছে। আমরাও আহত হয়েছি। টাকার কথা জানতে চাইলে বিষয়টি তারা এড়িয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সাইফুল ইসলাম জানান, রোগী আমার চিকিৎসাধীনে ৩য় তলার ১৬ নম্বর বেডে ভর্তি আছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে কালো কালো দাগ আছে। মাংসে চাপা লাগায় বিভিন্ন অংশ ফুলে গেছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. দুলাল প্যাদা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, দুই পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মীমাংসার ব্যবস্থা করব। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আহত ছালাম আকনের বোন কহিনুর বেগম বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানা যায়।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host